নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: ৫ই,এপ্রিল :: শিক্ষক এর চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠলো। সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় এদিন আদালতে মামলা করলেন একজন প্রতারিত অভিভাবক।
প্রতারিত হওয়া মনোরঞ্জন পালের বাড়ি মন্তেশ্বর থানার জামনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গনগনিয়া গ্রামে। তিনি কালনা আদালতে নাদনঘাট রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন ঘোষের নামে মামলাটি করেন। তিনি জানান– তার ছেলে শ্যামাদিত্য পাল ২০১৪ সালে আপার প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
সেখান থেকে ইন্টারভিউ দিয়ে শিক্ষকতার চাকুরী পাকা করতে তিনি নাদনঘাটের শচীন বৈরাগ্য নামের এক ব্যক্তি মারফত স্বপন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
অভিযোগ স্বপন ঘোষ চাকুরী পাকা করতে ২০২০ সালের শেষের দিকে কয়েক দফায় মনোরঞ্জন পালের নিকট থেকে ৯ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু চাকুরী না হওয়ায় শেষে মনোরঞ্জন পাল পাল টাকা ফেরত চান। ২০২২ সালের শেষের দিকে স্বপন ঘোষ তাকে এক লক্ষ টাকার চেক লিখে দেন। কিন্তু চেকটি বাউন্স করলে মনোরঞ্জন পাল তাকে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষুব্ধ হন। বলেন টাকা দেব না, আপনি যা পারেন করে নিন।
তারপরেই মনোরঞ্জন পাল মন্তেশ্বর ও নাদন ঘাট থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার কালনা আদালতের দ্বারস্থ হলেন মনোরঞ্জন পাল। সূত্রের খবর মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আর স্কুলে আসছেন না। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও শিক্ষক স্বপন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।