নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: ৬ই,এপ্রিল :: মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার এক স্কুল শিক্ষিকা। টাকা চুরি করে ধরা পড়ে এক ছাত্র। চুরির অপরাধে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা শাসন করে ছাত্রটিকে। অল্প বিস্তর মারধরও করা হয় ছাত্রটিকে। তারই প্রতিবাদে ছাত্রটির মা এবং এলাকার কয়েকজন মহিলা স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে বেধড়ক মারধর করেন এক শিক্ষিকাকে।
একেবারে ক্লাসরুমে ঢুকে চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচকের নাজিরপুর পশ্চিম পাড়া প্রাইমারি স্কুলে। মানিকচক পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা শিক্ষিকা । চুরির ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। স্কুলের অফিস ঘরের ড্রয়ার থেকে চুরি যায় প্রায় ৭০০ টাকা। তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র চুরির কান্ডটি ঘটিয়েছে বলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সন্দেহ হয়।
ছাত্রটিকে একটু চেপে ধরতেই সে চুরির কথা স্বীকার করে। তাতেই রাগবশত স্কুলের টিআইসি চন্দন মিত্র ছাত্রটিকে অল্প বিস্তর মারধর করেন বলে অভিযোগ। সেই স্কুলের সহ শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায়ও ছাত্রটিকে শাসন করে। আর এটাই ঘোর অপরাধ। আর এই অপরাধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, চুলের মুঠি ধরে মার খেতে হয় শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায় কে।
কেন তার ছেলেকে মারা হয়েছে তার প্রতিবাদে স্কুল চত্বরে এসে হাজির হয় সেই অভিযুক্ত ছাত্রটির বাবা-মা এবং বেশ কয়েকজন স্থানীয় মহিলা ও পুরুষরা। তারা এসেই প্রথমে চড়াও হন সেই স্কুলের টিআইসি চন্দন মিত্রের উপর। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন তারা। আর এই ঘটনারই ভিডিও করতে শুরু করেন সহশিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায়।
শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায়ের মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন দুইজন মহিলা। একেবারে চুলের মুঠি ধরে ক্লাসরুম থেকে বের করে চলে চড় থাপ্পড়। অকথ্য ভাষায় চলে গালিগালাজ। এমনকি শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায়কে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
স্কুলের টিআইসি চন্দন মিত্রকেও পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। শিক্ষিকা দেবপ্রিয়া রায় কে মারধর করেই স্কুল চত্বর থেকে চম্পট দেন তারা। পরে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মানিকচক থানার পুলিশ। সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত করেন তারা।