নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: ২১শে,এপ্রিল :: কৃষ্ণকে তিনিই দিয়েছিলেন সুদর্শন চক্র, চির-অমর পরশুরাম আজও আছেন এই পৃথিবীতেই !
শাস্ত্র অনুসারে এই পৃথিবী থেকে পাপ বিনাশ করতে যুগে যুগে অবতার রূপে জন্ম নিয়েছেন বিষ্ণু। নারায়ণের এই দশ অবতারের অন্যতম হলেন পরশুরাম। মহর্ষি জমদগ্নি ও রেণুকার পুত্র ছিলেন পরশুরাম। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিকে তাঁর আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর আগামী ২২ এপ্রিল পালন করা হবে পরশুরাম জয়ন্তী। এই দিনটিকে অক্ষয় তৃতীয়া হিসেবেও পালন করা হয়।
পুরাণে আট চির-অমর মানুষ সম্পর্কে জানা যায়। এই আটজনকে বলা হয় অষ্ট চিরঞ্জীবী। এই অষ্ট চিরঞ্জীবীর অন্যতম হলেন পরশুরাম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে আজও এই পৃথিবীতে অবস্থান করেন পরশুরাম। পরশুরাম ছাড়া অষ্ট চিরঞ্জীবীর বাকি সাতজন হলেন – হনুমান জি, অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য, ঋষি মার্কণ্ডেয়, রাজা বলি, মহর্ষি বেদব্যাস এবং বিভীষণ। পরশুরাম জয়ন্তীর আগে জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে কয়েকটি অবাক করা তথ্য।
জন্মের পর পরশুরামের নাম ছিল রাম। মহাদেবের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি। মহাদেবই তাঁকে কুঠার-সহ একাধিক অস্ত্র দান করেছিলেন। কুঠারের আর এক নাম পরশু। মহাদেবের থেকে অস্ত্র হিসেবে পাওয়া কুঠার তাঁর হাতে সব সময় থাকত বলে রাম থেকে তাঁর নাম হয় পরশুরাম।
* শ্রীকৃষ্ণকে সুদর্শন চক্র দান করেছিলেন পরশুরাম। অস্ত্রশিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর শ্রীকৃষ্ণ পরশুরামের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছিলেন। তখন কিশোর কৃষ্ণকে দুষ্টের দমন করতে সুদর্শন চক্র দান করেন তিনি। এই যুগ তাঁর বলে কৃষ্ণকে জানিয়েছিলেন পরশুরাম।
মাতৃহত্যার পাপে হাতে কুঠার আটকে গিয়েছিল পরশুরামের! গল্পটা জানা আছে ?
* পরশুরাম নিজের মাকে বধ করেছিলেন। বাবার আদেশ রক্ষা করতে মাকে হত্যা করা পরশুরামের জীবনের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা। তবে এরপর বাবার থেকে আশীর্বাদ নিয়ে মায়ের জীবন ফিরিয়েও দেন তিনি। তবে মাতৃহত্যার পাপে সেই কুঠার তাঁর হাতে আটকে যায়।
শেষে রাজস্থানের চিতৌরের মাতৃকুণ্ডিয়া নামক স্থানে পরশুরাম মাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্তি পান। এখানেই শিবের তপস্যা করেন তিনি। শিবের কথানুযায়ী মাতৃকুণ্ডিয়ার জলে স্নান করে নিজেকে পাপমুক্ত করেন। এই স্থানটিকে মেওয়াড়ের হরিদ্বার বলা হয়। (সংগৃহীত)