সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বাসন্তী :: ২৪শে,এপ্রিল :: ‘অ এ অজগর আসছে তেড়ে’, কিম্বা ‘খোকা গেল মাছ ধরতে’ থেকে শুরু করে জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ কিম্বা ‘ধনধান্যে পুস্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরার’ মতো ছড়া, গান শিখছে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। কিন্তু এতে আর নতুন কি?
স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলে এসব শিখবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয় হল এগুলো যার কাছ থেকে শিখছে এই ক্ষুদেরা তিনি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। গ্রামের মানুষ তাঁকে পাগল বলেই জানে। রাস্তা দিয়ে গেলে কেউ জল ছিটিয়ে দেয় তো কেউ মুখ ঝামটা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে এই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা বছর পঁয়তাল্লিশের কনকবালা মাইতির পাশে দাঁড়িয়েছেন বাসন্তীর চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রান্না হওয়া মিডডে মিলের খাবার থেকে কনকের জন্য দু মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
পাশাপাশি যাতে কনকের রাতের খাবারের অসুবিধা না হয় সেই দায়িত্বও নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিমাই মালি। কিন্তু এ তো গেল একটা দিক, এই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার জন্য শুধু দুবেলা দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থাই নয়, তাঁকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।