সংবাদ প্রবাহ টিভি ডেস্ক :: ৩১শে জানুয়ারি :: কোলকাতা ::
‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার চান
রবিবার ডুমুরজলার সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা গেল গেরুয়া মোদি কোটে। পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়ে ‘জার্সি’ বদলানোর পাশাপাশি প্রত্য়াশা মতোই রাজ্য়ের শাসকদলকে আক্রমণ শানালেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী। বললেন, ‘শেষ মুহূর্তের জায়গায় ওঁরা পৌঁছে গিয়েছে।’
স্লোগান তুললেন, ‘চলুন পাল্টাই।’ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে যে স্লোগান ছিল বিজেপির সব নেতাদের মুখে এদিন দলে যোগ দিয়ে সেই বুলিই আওড়ালেন তিনি। বললেন, ‘চুপ চাপ, পদ্মে ছাপ।’ তবে একবারও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে কোনও আক্রমণ করলেন না তিনি।
শনিবারই দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপরই, আজ রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা সভা থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে হুংকার ছাড়লেন তিনি। প্রাক্তন দলের প্রতি একের পর এক বিষোদগার করলেন।
এদিন ডুমুরজলা সভা থেকে রাজীব মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রের কাছে টাকা আদায়ে ব্যর্থ কে? রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে এদিন রাজীব বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার চাই।
প্রসঙ্গত এদিন ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের কথা বলেন তিনি। স্পষ্ট বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্যে আমরা একই সরকার চাই। আমরা চাই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারই মানুষকে দিশা দেখাতে পারবে।” এরপরই রাজ্যের শিল্প নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজীব। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প শ্মশানে পরিণত হচ্ছে। তৃণমূলের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গে যে শিল্পের কোনও উন্নতি হয়নি এদিন রাজীবের কথায় স্পষ্ট তার ক্ষোভ উঠে আসে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতার কথায় বারবার উঠে আসছিল ক্ষোভের কথা।
ভোটের মুখে এভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প রাজ্যবাসীকে ভাঁওতা দেওয়ার জন্যই বলে মত রাজীবের। তিনি এও বলেন, রাজ্যের তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘুদের ‘বিজেপি জুজু’ দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দরকার হলে পাড়ায় পাড়ায় যাব, গ্রামে গ্রামে যাব।’ সভামঞ্চ থেকে তাঁর প্রশ্ন, ‘আমার ভাবতে অবাক লাগে, একটা সময় স্লোগান ছিল বদলা নয় বদল চাই। আর আজ কী হচ্ছে? ‘ সভামঞ্চ থেকেই তিনি রবিবার স্লোগান তোলেন ‘চলো পাল্টাই’। কিন্তু আমি বলছি ২১শের ভোট বাঁফজিলায় পদ্ম ফুটবে ।
ভার্চুয়াল মিটিং এ এসে অমিত সা বললেন ২১-এর নির্বাচন জিতে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু করবে বিজেপি সরকার।ডুমুরজলার মেগা সভায় ভার্চুয়াল উপস্থিতিতেই বড় ঘোষণা অমিত শাহের। স্মৃতি ইরানির সুরেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে ঝাঁঝালো আক্রমণ। শাহ নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বলেন, ‘ ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া তৃণমূলের আর কোনও লক্ষ্য নেই।’