পাত্রী কৃষ্ণা মন্ডলের বিয়ের সম্পন্ন করলো মালদার জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক একটি সংস্থা।

কুমার মাধব  :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: ২৫শে এপ্রিল :: বাড়ির ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র দেখে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ । ফলে ছোট মেয়ের বিয়ে দেওয়া নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন মালদা শহরের গৌড়রোড এলাকার নরেন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সুশীল মন্ডল।

পেশায় দিনমজুর সুশীলবাবুর ছোট মেয়ে কৃষ্ণা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনটার এলাকার পাত্র লিটন হালদারের। কিন্তু দিনমজুর মেয়ের পরিবারের পক্ষে লোক খাওয়ানো তো দূরের কথা, সামান্য বিয়ের আয়োজনটুকু করাও সম্ভব হয়ে উঠছিল না। বিষয়টি জানতে পেরে অবশেষে দুঃস্থ ওই মন্ডল পরিবারের পাশে দাঁড়ালো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

পাত্রীর বিয়ের জন্য ধুমধাম করে আয়োজন করা হলো। রাতারাতি ব্যবস্থা, আর তারপরেই বিয়ে। আর সেই বিয়েই চমকপ্রদ হয়ে উঠল গোটা এলাকায়। ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে শতাধিক লোক খাইয়ে পাত্রী কৃষ্ণা মন্ডলের বিয়ের সম্পন্ন করলো মালদার জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক একটি সংস্থা।

কি ছিল না খাবারের মেনুতে, পোলাও, ভাত, ডাল, সবজি,বেগুনি থেকে শুরু করে খাসির মাংস, দই, মিষ্টি , চাটনি আয়োজনে ভরপুর রাখা হয়েছিল। নরেন্দ্রপল্লী এলাকার অন্তত ২০০ জন পাড়া-প্রতিবেশীরা এই বিয়েতে আমন্ত্রিত হয় এবং খাওয়া-দাওয়া করেন।

সোমবার রাতে ধুমধাম করেই সুশীলবাবুর ছোট মেয়ে কৃষ্ণা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় পাত্র লিটন হালদারের । আর এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। দুঃস্থ  পরিবারের এই বিয়েতে সামিল হয়েছিলেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অজিত দাস, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী অনিল কুমার সাহা, শিক্ষক আজিমুল ইসলাম, সমাজকর্মী মুন্না রায় ও ইতি দাস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =