কুণালের দাবি, ২০০০ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর মজিলপুর পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: ২৮শে,এপ্রিল :: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। পাল্টা বাম সরকারের আমলে নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরব হয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে ফের বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

কুণালের দাবি, ২০০০ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর মজিলপুর পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়। এ দিন সমাজ মাধ্যমে ২০০০ সালের একটি সরকারি নির্দেশিকার প্রতিলিপি পোস্ট করেছেন কুণাল। সেখানে জয়নগর মজিলপুর পুরসভায় বিভিন্ন পদে ৩০ জনের চাকরির নির্দেশ রয়েছে। এই চাকরি আদৌ স্বচ্ছভাবে হয়েছিল কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র।

সেই সময় সরকারে থাকা বামেদের দিকেই এই প্রসঙ্গে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কুণাল। তবে কুণালের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বাম নেতৃত্ব। ” জয়নগরের সিপিএম নেতা পুলক বসু বলেন, “কংগ্রেসের আমলে সেই সময় সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম।”

পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান প্রশান্ত সরখেলের দাবি, “ওরা পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। আদালতের রায়ে সরকারি নির্দেশে তাদের স্থায়ী করা হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।” কুণাল ঘোষের পোস্ট করা নির্দেশিকায় চাকরি প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে পুরসভার বর্তমান হেড ক্লার্ক জয়দেব দাস সহ কর্মরত বেশ কিছু কর্মীর।

জয়দেব বলেন, “১৯৯০ সালে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। পরে সরকার অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশিকা মেনেই আমাদের স্থায়ী করা হয়েছিল।” পরে বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের পদোন্নতিও হয়েছে।”
তালিকায় নাম থাকা কয়েকজন কর্মীকে পাশে বসিয়ে বর্তমান পুরপ্রধান সুকুমার হালদার বলেন, “এই সহ কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করছি। এদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে বলতে পারব না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + nine =