আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ টিভি :: ১লা,ফেব্রুয়ারি :: কলকাতা ::
ডিজিটাল বাজেট
এবারের পেপার বিহীন ডিজিটাল বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিথা রামোন কিন্তু সামনে এই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে পাখির চোখ করে বাংলার মানুষের জন্য একগুচ্ছ জনমুখী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন ।
এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, গোমো ডানকুনি ২৭৪ কিলোমিটার ফ্রেট করিডোর তৈরি করা হচ্ছে। খড়্গপুর থেকে বিজয়ওয়াড়া ফ্রেট করিডোর তৈরি করা হবে। এছাড়া রাজ্যে তৈরি হবে ৬৭৫ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক। কলকাতা শিলিগুড়ি সড়ক সংস্কার হবে। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, দেশে দেড় লক্ষ নতুন চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। বাজেটে ঘোষণা নির্মলা সীতারমনের। জাপান থেকে জাহাজ এনে ভারতে পুননির্মান করা হবে বলে এদিন জানান অর্থমন্ত্রী। এতে ১.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান বাড়বে। এছাড়া শহরের গ্যাস বণ্টন পদ্ধতি আরও বেশি উন্নত হবে বলে দাবি করেন নির্মলা সীতারমন।
করোনা অতিমারী নিয়েও চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকার এবারের বাজেটে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বরাদ্দ রেখেছেন । অতিমারির দাপটে জর্জরিত দেশ তাকিয়ে ছিল বাজেটের দিকেই। প্রশ্ন ছিল, কতটা গুরুত্ব পাবে কোরোনার টিকা ? সে দিকে যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সোমবার তা স্পষ্ট ভাবেই প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
সোমবার বাজেট পেশের সময়ে নির্মলা বললেন, ‘‘কোভিড-১৯ টিকার জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশে ইতিমধ্যে দু’টি টিকা পাওয়া যাচ্ছে। এই দেশের পাশাপাশি, আরও ১০০টি দেশের মানুষের কাজে লাগছে সেই টিকা। আরও অন্তত দু’টি টিকা কিছু দিনেই এ দেশে পাওয়া যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।”
দেশের বেশ কোটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে । এখন শুধু নির্বাচন কমিশনের দিনক্ষণের নির্ঘন্ট ঘোষণা বা কি সেদিকে তাকিয়েই কিন্তু আয়করের একদিকে যেমন বিশেষ একটা রদবদল ঘটেনি তেমনই আয়করে বড় ধরনের ছাড় পেতে চলেছেন প্রবীণরা। রবিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
তিনি জানান, ৭৫ বা তার বেশি বয়স হলে, এক পয়সাও কর দিতে হবে না কাউকে। অর্থাৎ যাঁরা পেনশন পান এবং ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুদের উপর নির্ভর করেন, আইটি রিটার্ন করতে হবে না তাঁদের। আর শেয়ার ডিভিডেন্ট থেকে টিডিএস কাটা হবে না কোনও নাগরিককেই।
সাধ্যের মধ্যে সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ গড়ার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত গৃহঋণে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মিলবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের কম ভাড়ায় ঘরের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।