সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: শিলিগুড়ি :: ১৩,মে :: টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দক্ষিণবঙ্গের তাপপ্রবাহের চিত্র। কলকাতা হাওড়া হুগলি সহ কোটা দক্ষিণবঙ্গে কতটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে দহন জ্বালা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চরম অস্বস্তিতে সেখানকার মানুষ। টেলিভিশনের পর্দায় বারে বারে ভেসে আসছে তাপপ্রবাহের কবলে দক্ষিণবঙ্গ।
উত্তরের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের অবস্থা অত্যন্ত জটিল। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। এদিকে শিলিগুড়িতে তাপপ্রবাহ না হলেও, গরমের অস্বস্তি যথেষ্ট রয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী স্পর্শ না করলেও, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি উঠে যাচ্ছে। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও খুব একটা নামছে না।
বেলা বাড়তে রোদের কবলে গোটা শহর। বাইরে টেকা যাচ্ছে না। খুব একটা প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। দুপুরবেলায় সাধারণত বিধান রোড মহাবিরস্থান রোড সহ ব্যস্ততম জনপদ গুলি লোকের অরণ্য থাকে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে এই জনপদ গুলি প্রায় ফাঁকা। দোকানদাররা জানাচ্ছেন ব্যবসা আগের মতো হচ্ছে না।
প্রচন্ড গরমের কারণে বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। সেই কারণে ব্যবসা আগের মত হচ্ছে না। ঠান্ডা পানীয় দোকানে গলা ভেজাতে ছুটে যাচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন শহরে বাড়ছে দূষণ, লোকসংখ্যা ও আগের থেকে অনেক বেশি। বড় বড় বিল্ডিং কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। বাড়ছে কংক্রিটের জঙ্গল।
গাছপালা কাটা পড়ছে। প্রতিবছর লক্ষ্য করা যাচ্ছে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা কিন্তু বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের মতো শিলিগুড়ি ও এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে। সবাই আকাশ পানে চেয়ে রয়েছেন আর অপেক্ষা করছেন এক পশলা বৃষ্টির, যাতে করে দহন জালা জুড়িয়ে যাবে।