সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলপি :: ১৬,মে :: এ যেন রবি ঠাকুরের জীবিত মৃত গল্পের মতন। কাদম্বরী মরে প্রমাণ করেছিল সে মরে নাই। কিন্তু আধুনিক যুগে যেন উলটপুরাণ । জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা। টানা দু’বছর ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। টাকার অভাবে বন্ধ চিকিৎসাও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের ঢোলাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের ঘটনা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে একে অন্যকে দোষরোপ শুরু হয়েছে । গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির চিত্তরঞ্জন হালদার যদিও ভাতা বন্ধের ঘটনায় ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি পঞ্চায়েত কর্মীদের উপর দায় চাপিয়েছেন।
উল্টো দিকে ঢোলা পঞ্চায়েতের প্রধান রুবিয়া বিবি কয়ালের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা হোসেন কয়াল ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের উপর দায় চাপিয়েছেন। বৃদ্ধের অভিযোগ, তিনি বামপন্থী হওয়ায় তাঁর ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে ওই নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় ভাতা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।