নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হিঙ্গলগঞ্জ :: বুধবার ৭,জুন :: নাগাড়ে ফোন বেজে গেলেও তুলছে না করমণ্ডলে নিখোঁজ হিঙ্গলগঞ্জের সঞ্জয় মন্ডল’। বিডিওর নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি প্রতিনিধিরা নিখোঁজ সঞ্জয় মন্ডলের ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডল সোমবার বালেশ্বরের গিয়েছিল।
বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রুপগ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলি গ্রামের বছর আটত্রিশের সঞ্জয় মন্ডল। কর্মসূত্রে তিনি ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন। গত ছয় মাস আগে শেষ বারের মত বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর যশোবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে শুক্রবারে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঊড়িষ্যার বালেশ্বরে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সঞ্জয় মন্ডল। প্রায় ৭২ ঘণ্টা কাটতে চললেও তারা খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার শেষ কথা হয়েছিল স্ত্রী আরতি মন্ডল ও ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডলের সঙ্গে। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল বেজে গেলেও , মন্ডল পরিবারে হতাশা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছিল।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাবার মৃতদেহ সনাক্ত করে ছেলে । বালেশ্বর এ ময়না তদন্ত হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স করে রওনা দিয়ে বুধবার সঞ্জয় মন্ডলের কফিন বন্দি মৃতদেহ হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর বাঁশতলা গ্রামে ফিরল। মৃত দেহ বাড়ি আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে স্ত্রী আরতি মন্ডল সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ।
ইতিমধ্যে বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ি, হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পুতের কর্মাধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ গাজী হাসনাবাদে এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা মৃতদেহে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তার পরিবারের সরকারি সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং এই পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হন তারপর সঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।