সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: শুক্রবার ৯,জুন :: উড়িষ্যার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হয় কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর ৬৪ নম্বর বাড়ি এলাকার বাসিন্দা শামসুল হুদা শেখে (৩০) । সাত দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার উড়িষ্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি মরদেহ সামসুল হুদা শেখের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে। ময়নাতদন্ত করার সময় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মৃতদেহ শামসুল হুদা শেখের নয় , এই মৃতদেহ বিহারের বাসিন্দা রাজা সাহানির।
এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গের ডোমের কাছ থেকে । মরদেহর পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি রক্তমাখা আধার কার্ড।
আধার কার্ডটি থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় এই মরদেহ বিহারের বাসিন্দা রাজা সাহানির । এরপর পরিবারের লোকজন , প্রশাসনের দ্বারস্থ হন । প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মরদেহ পুনরায় উড়িষ্যায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া দু-লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পুনরায় ফেরত পাঠায় ওই পরিবার।
আব্দুল মজিদ শেখ (৪৭) ও গিয়াস উদ্দিন শেখের (৩৪) । মৃতদেহ সনাক্তকরণ করে বাড়িতে ফেরানো হলেও এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে তিনজন। বৃহস্পতিবার যে মরদেহ এসেছে সেই মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যের নয় এমনি দাবী করায় স্বাভাবিক ভাবে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় ।
আমরাও চাই যে উড়িষ্যা প্রশাসন নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করুক ও পরিবারের কাছে পৌঁছে দিক। বিগত সাত দিন কেটে যাওয়ার সত্বেও এখনো পর্যন্ত মৃতদেহ কেন পাচ্ছেনা সেই প্রশ্ন তুলেছে ওই পরিবার । জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় কবে পাবে সেই আশায় এখন দিন গুনছে পরিবারের লোকজন ।