মধু কুমারী :: সংবাদ প্রবাহ টিভি :: ২৫ শে ফেব্রুয়ারি :: মালদা ::
মালদায় চড়ছে
রাজনৈতিক পারদএকুশের বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র মাস দুই বাকি। এর আগে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এবার “খেলা হবে ” তৃনমূলের এই শ্লোগান নিয়ে দেওয়াল লিখনে লড়াই ময়দানে বিজেপি।এই খেলা হবে গানের লাইন বঙ্গ রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যেকের মুখে মুখে ঘুরছে। এখন এই খেলা হবের প্রত্যুত্তরে পাল্টা দিচ্ছে বিরোধীরা, পাল্টা দেওয়াল লিখন পড়ল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে।
খেলা হবে, পাল্টা চাকরি হবে, শিল্প হবে, এই দুই দলের শ্লোগানে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকায় দেওয়াল জুড়ে তৃনমূলের ‘খেলা হবে’ প্রচার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপির সাথে তৃনমূলের প্রচারের লড়াই। বিজেপি দেওয়াল লিখনে বলছে, খেলা হবে এই প্রচার আর নয়। শ্লোগান হোক “চাকরি হবে, শিল্প হবে”। “বাংলা আবার ভারত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে”।
কীসের খেলা হবে, এতদিন তো খেলাই খেলে এসেছে শাসকদল, এবার আর খেলা হবেনা, হবে বাঙলা গড়ার কাজ, এভাবেই পাল্টা দিচ্ছে মালদা বিজেপি নেতৃত্ব। যে সরকারে সময় কালে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের ঘুষ দিতে না পারার জন্য বেকার হয়ে ঘুরতে হয় সেই সরকারের আর কী খেলা? গত দশ বছরে কয়টা চাকরি হয়েছে? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
অপরদিকে তৃণমূলও জবাব দিতে মরিয়া। ভারতীয় জনতা পার্টিকে বহিরাগত আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তারা। তৃণমূলের দাবি যে দল বাঙলার সংস্কৃতি, রীতি রেওয়াজ জানে না তারা মানুষের উন্নয়ন কীভাবে করবে? এই সবকিছুই বিজেপির ফাঁকা আওয়াজ বলেও তোপ তৃণমূল নেতৃত্বের।
হরিশচন্দ্রপুর ১ ব্লক সভাপতি মানিক দাস ভারতীয় জনতা পার্টিকে অবাঙ্গালী বলে কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা তো উন্নয়নই করেছি। উন্নয়নের মর্ম বহিরাগতরা কী বুঝবে? আমরা দশ বছরে মানুষকে চাকরি দিয়েছি কর্মসংস্থান দিয়েছি। যে সরকার রাজ্যে এলোইনা, অবাঙালী কিছু মানুষকে নিয়ে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আমরা মানুষের উন্নয়নের খেলা খেলবো। বিজেপির কথায় কিছু যায় আসেনা। কেউ এলো আর সরকার গড়ে নিল এটা হতে পারেনা।”
Advertisement
নির্বাচনের আর কয়েকটা দিনই বাকি। তার আগে পারদ চড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। “খেলা হবে” স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত মালদার রাজনৈতিক মহল। সকলের চোখ এখন দেখতে চাইছে এবারের খেলায় আসলেই বিজেতা কে হয়! তা জানাবে সময়।