সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: সোমবার ১২,জুন :: রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে শাসক ও বিরোধীদের তরজা । অভিযোগ , পাল্টা অভিযোগে এখন সরগরম জেলার পঞ্চায়েত রাজনীতির ময়দান । ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর জেলা হিসাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার কাণ্ডে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কাকদ্বীপ বিডিও অফিস চত্বরে । এর জেরে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
তৃণমূলের প্রার্থীরা এদিন অভিযোগ তোলে বিডিও অফিস চত্বরে সিপিএম সমর্থকেরা লাঠি , লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত নিয়ে চারিদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে । এর ফলে তৃণমূল কর্মীর-সমর্থকেরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসতে পারছে না।
পাল্টা সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা অভিযোগ করে সকাল থেকেই বিডিও অফিস চত্বর শাসক দলের দুষ্কৃতীরা নিজেদের দখলে নিয়ে রেখেছে । এর ফলে বিরোধীরা কেউই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারছে না।
তৃণমূল কর্মী বলেন, সকালে এক তৃণমূল প্রার্থী নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিল বিডিও অফিসে । সেই সময় ওই প্রার্থী ও তার সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মীদের উপর হামলা চালায় সিপিএমে আশ্রিত দুষ্কৃতি বাহিনী ।
ইতিমধ্যে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে । এই ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবী জানানো হয়েছে শাসকদলের প্রার্থী থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের দাবী , বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন পত্র জমা না দিতে পারে সেক্ষেত্রে শাসকদলের দুষ্কৃতী বাহিনী সকাল থেকেই গোটা বিডিও অফিস চত্বর ঘিরে রেখেছে।
হাতে আগ্নেয়স্ত্র ও লাঠি নিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে । ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও বিডিও অফিস চত্বরে কিভাবে এত মানুষের জমায়েত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দুপক্ষের এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।