BREAKING NEWS :: সরকারি নজরদারির নব অধ্যায় – সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি করবে কেন্দ্রের সরকার

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ টিভি:: ২৬শে ফেব্রুয়ারি :: কলকাতা ::

সামাজিক মাধ্যমে

নজরদারি

 

এবার থেকে সব ধরনের ডিজিটাল মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমের ওপর নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় সরকার। সামাজিক মাধ্যমের ‘অপব্যবহার’ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও প্রকাশ জাভড়েকর একগুচ্ছ নির্দেশিকা ও নিয়মনীতির কথা ঘোষণা করেন। ‘জাতীয়তাবাদকে’ গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নষ্ট করার মতো কিছু করা হলে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ভারতে ব্যবসা করার জন্য সামাজিক মাধ্যমকে স্বাগত। কিন্তু সে জন্য তাদের দেশের আইন মানতে হবে। ব্যবহারকারীদের অভিযোগের নিরসন তাদের দ্রুত করতে হবে।

বন্ধ করতে হবে সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার। তিনি বলেন, আপত্তিকর ছবি ব্যবহার করে নারীদের অসম্মানিত করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রতারণা ও ভুয়া খবরে ছেয়ে যাচ্ছে দেশ। হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সরকার যদি জানতে চায় কোনো বার্তা বা টুইট কে করেছিলেন বা কোথা থেকে তার উৎপত্তি, সংশ্লিষ্ট সামাজিক মাধ্যম তা জানাতে বাধ্য থাকবে। এই বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, বৈদেশিক সম্পর্ক, শান্তি–শৃঙ্খলা, যৌন অত্যাচার ও নারীর সম্মানের মতো ঘটনার ক্ষেত্রে। একইভাবে এই মাধ্যম কারও কোনো বিষয় প্রত্যাহার করলে তার কারণ জানাতে বাধ্য থাকবে।

নতুন এই নীতিমালা অনুযায়ী ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামের মতো মাধ্যমকে অভিযোগ মীমাংসার জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। একজন কর্তাকে সে জন্য নিযুক্ত করতে হবে, যাঁকে ভারতে বসবাস করতে হবে। অভিযোগ দাখিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তাকে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে। নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ আগামী তিন মাসের মধ্যে কার্যকর করা হবে।

নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম ভিডিও, হটস্টারের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে স্বনিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সে জন্য এমন এক ব্যবস্থা করতে হবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম অথবা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা বিশিষ্ট মানুষ। সরকারের তরফেও ব্যবস্থা করা হবে । যারা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে। আপত্তির মীমাংসা হবে আদালতে।

সামাজিক মাধ্যম ইদানীং বিভিন্ন কারণে খবরের শিরোনামে। এ নিয়ে বিতর্কও অব্যাহত। ‘টুইটার’ কার মন্তব্য প্রত্যাহার করল বা করল না, কেন করা হলো অথবা করা হচ্ছে না, এই সব নিয়ে চর্চা অব্যাহত। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া কিছু সিনেমাও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এবার শুরু হতে চলেছে সরকারি নজরদারি নব অধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =