সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড় :: মঙ্গলবার ১৩,জুন :: মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ।মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রর চেহারা নিল ভাঙড়। এরই মাঝে দুপুরের দিকে মাঠে রাখা আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা।
এদিন নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। আইএসএফের অভিযোগ, তাদের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। বিজয়গঞ্জ বাজার, কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূল নেতৃত্ব এই কাজ করেছে বলেই দাবি তাদের। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় গাড়ি, মোটরবাইক। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলা আটকানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। পালটা একই দাবি করে তৃণমূল।
সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ এর পাশাপাশি ও কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে পুলিশ।
প্রায় আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই অশান্তি। আর এই অশান্তির মাঝে এদিন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুলের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতে আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ হাকিমুল। গোটা ঘটনার দায় আইএসএফের উপরই চাপিয়েছেন তিনি।
হাকিমুল বলেন, “দু ঘণ্টা ধরে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির লোকেরা। কম করে পাঁচ হাজার লোক এনে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। তৃণমূলের কমপক্ষে ১০০ কর্মী-সমার্থক আহত হয়েছে । গুলি লেগেছে অনেকের ।
ওরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে সকাল থেকেই। ওরাই বোমার ব্যাপারে কিছু একটা করেছে।” যদিও এত কিছুর মাঝে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে অশান্তির বাতাবরণ তৈরী হলেও মনোনয়ন পত্র পেশ হয়েছে যথাযথ ভাবেই ।