সংবাদ প্রবাহ :: নিজস্ব সংবাদদাতা :: সালানপুর :: সোমবার :: ২৫ জুন :: জমিতে দেওয়াল দেওয়ার নাম করে কেঁটে ফেলা হচ্ছে গাছের শিকড়,নীরব ভূমিকায় প্রশাসন ও বনদপ্তর।একদিকে রাজ্য প্রশাসন ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ডাক দিয়ে চলেছে মাইথন পর্যটন কেন্দ্রেকে গ্রীন মাইথন ক্লিন মাইথন হিসেবে গড়ে তোলার। আর ঠিক মাইথনের রাস্তার পাশেই জমি মাফিয়ারা একের পর এক গাছ কেটে চলেছে।
এমনি দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেলো কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির তত্বাবধানে গড়ে উঠা সালানপুর থানার পুলিশ বাগানের একদম পাশেই জয়দেব গরাই নামক ব্যাক্তির হদলা মৌজার ১০৩ দাগের জমিতে।প্রায় ৫৬ডিসমিল জমির উপর কয়েক মাস আগে একাধিক বড় বড় গাছ বিনা অনুমতিতে কেটে ফেলা হয়।সেইসময় বনদপ্তর খবর পেয়ে কেঁটে ফেলা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করেন।
কিন্তু এবার এদিন অর্থাৎ রবিবার ২৫শে জুন পূনরায় ওই জমির উপর জেসিপি লাগিয়ে কাঁটা গাছ গুলির শিকড় উপড়ে ফেলার কাজ করতে দেখা যায়।এবং সেই জায়গায় বাউন্ডারি মানে জমিতে দেওয়াল দেওয়ার জন্য জায়গাটির সামনের অংশে এবং মাঝের অংশে জেসিপি লাগিয়ে গাছের শিকড় সহ মাটি কাঁটার দৃশ্য ধরা পড়ে।
সেই খবর দেওয়া হয় কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ইনচার্জ উজ্জ্বল সাহাকে।তবে উজ্জ্বল বাবু নাম সাক্ষী এক পুলিশ আধিকারিক পাঠান তিনি এসে দেখে চুপ করে চলে যান।প্রশ্ন তবে গাছ কাঁটা হলে বা চুরি হলে পুলিশ নিজে থেকে কি কিছু করতে পারেন না? পুলিশকে কী বনদপ্তরের পদক্ষেপের অপেক্ষা করতে হয়।তবে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বন দপ্তরের কর্মী রিন্টু কাহার তিনি জানান আগে যেই গাছগুলি কাঁটা হয়েছে সেই গাছ গুলির শিকড় তোলার অনুমতি পরে দেওয়া হয়েছে।তবে বাউন্ডারি নামে যে গর্ত করা হচ্ছে,তাতে যে সমস্ত গাছগুলির শিকড় নষ্ট হচ্ছে তার কোনো অনুমতি নেই।তবে জমির মালিকে সতর্ক করা হয়েছে।বলা হয়েছে অনুমতি ছাড়া গাছ বা গাছের কোনো শিকড় কাঁটা যাবে না।তবে প্রশ্ন যেই গাছ গুলির শিকড় কাঁটা হয়ে গেলো সেই গাছগুলি কী জীবিত থাকবে।না কিছু দিন পর শুকিয়ে নষ্ট হয়ে পড়বে।সেই গাছ গুলির দায়িত্ব কে নেবে।