এদিকে তৃণমূলের এসব মামলার ঘটনায় চুপ করে বসে নেই বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতকাল শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কোর্টে যেতেই পারেন। আমরাও যাচ্ছি বহু অভিযোগ নিয়ে। ভোটে কারচুপি, নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষসহ নানা অভিযোগ নিয়ে আমরাও আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছি।’ গণনাকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে তাঁরাও আবেদন করবেন বলে জানান তিনি।
ADVERTISEMENT
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে গতকাল এই মামলার শুনানির কথা থাকলেও মমতা আদালতে হাজির না হলে সেই মামলার তারিখ পিছিয়ে ২৪ জুন করা হয়েছে। তবে এই বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। নেতারা বলছেন, কৌশিক চন্দর সঙ্গে বিজেপি যোগ রয়েছে। এই অভিযোগ এনে বেঞ্চ পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন নেতারা। এ জন্য আবেদনও জমা দিয়েছেন মমতা। শুধু তা–ই নয়, এই নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা মামলা স্থানান্তরের দাবিতে আদালতে বিক্ষোভও করেছেন। মমতা নন্দীগ্রাম আসনে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন।
ADVERTISEMENT
মমতার নির্বাচনী মামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, মামলায় হেরে যাবেন। তাই এসব বাহানা করছেন তিনি। দিলীপ বলেন, ‘বিচারপতি কৌশিক চন্দ যখন আইনজীবী ছিলেন, তখন কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে এখন কেন তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে? উনি নিজের মেধায়, যোগ্যতায় আইনজীবী থেকে বিচারপতি হয়েছেন। তৃণমূলের বহু সমর্থক আইনজীবীও তো বিচারপতি হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের স্পিকারও তো তাদের দলের। তাতে কি আমরা স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি?’