আটকানো হল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি। শুক্রবার নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ঢুকতে বাধা ভাঙড়ের বিধায়ককে।

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড় :: শুক্রবার ১৪,জুলাই :: আটকানো হল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি। শুক্রবার নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ঢুকতে বাধা ভাঙড়ের বিধায়ককে। ভোটের পর এদিনই প্রথম নওশাদের ভাঙড় যাওয়া। এদিন নিহত আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা তাঁর। যাওয়ার কথা নিজের অফিসেও।

যদিও ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ের অদূরে তাঁকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। বিশাল পুলিশবাহিনী গার্ড রেল দিয়ে ব্যারিকেড করে রেখেছে সেই রাস্তা। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তা ভেঙে বিধায়ক এলাকায় আবারও অশান্তির আবহ তৈরি হতে পারে।

ডিএসপি ক্রাইম-সহ অন্যান পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে।এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয় নওশাদের। নওশাদ বলেন, “আমি বিধায়ক। অনেকে ফেক এমএলএ গাড়িতে লিখে ঘোরে। ফেক এমএলএ বিধানসভায় ঢুকে গিয়েছিল। আমি ফেক নই। আমার আইডি কার্ডও আছে। দেখতে পারেন।”

পাল্টা ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, “আমাকে কার্ড দেখানোর দরকার নেই। আমার কাছে অর্ডার নেই সাহেব।” এরপরই নওশাদ প্রশ্ন করেন, “আমি এলাকার বিধায়ক। আমি আমার এলাকায়ও যেতে পারব না?”

এরপরই নওশাদ অভিযোগ করেন, ভিতরে যাঁরা যাবেন, তাঁদের নামের তালিকা রয়েছে পুলিশের কাছে। তাতে বিধায়কের নাম নেই। অথচ তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম আছে। বৃহস্পতিবার তাঁরা ঘুরে বেড়িয়েছেন এলাকায়। এরপরই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে নওশাদ বলেন, “অন ক্যামেরা বলছি, এসপি ম্যাডামকে প্রস্তুত থাকতে বলুন।

ওনার বিরুদ্ধে ক্যানিংয়ের দিকে একটা প্রশ্ন উঠেছে। আপনারা অনৈতিক কাজ করেছেন। কোর্টে জবাব দিতে হবে। তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।”যদিও ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক জানান, “আমাদের কাছে একটা ১৪৪ ধারার নির্দেশ আছে।

বিধাননগরের সঙ্গে যেসব জেলা সীমানায় যুক্ত, সেখানে নাকা চলছে। এটাও নাকা পয়েন্ট। এসডিও বারুইপুরের অর্ডার আছে এখান থেকে ভাঙড়ের দিকে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ছাড়তে পারছি না।”

কিন্তু অভিযোগ, বৃহস্পতিবার এলাকায় শওকত মোল্লাদের দেখা গিয়েছে। হাতিশালা মোড়ের কাছে আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লারা সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন। উত্তরে ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, “এই পয়েন্টে এখন নাকা আছে এটুকুই বলতে পারি। অর্ডার এসডিওর, তাই উনিই সবটা বলতে পারবেন।”

অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ককে আটকে দেওয়া প্রসঙ্গে শওকত মোল্লার বক্তব্য, “আমি যতটুকু জানি ওখানে একটা ১৪৪ ধারা চলছে। আমরা কেউই ঢুকতে পারছি না। আর আমার প্রশ্ন, উনি কি ওখানে আবার উস্কানি দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন? আমার মনে হয় নওশাদ চাইছে, পুলিশের সঙ্গে তিন ঘণ্টা কাউন্টার করে তিনজন মায়ের কোল যেভাবে খালি হল, আবারও তা হোক।”

বিধায়ককে নিজের এলাকায় আটকে দেওয়া নিয়ে শওকতের যুক্তি, “সে তো আমাদের সাংসদরা যখন যান, জামার কলার ধরে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়।” তবে নওশাদও অনড়। গাড়িতেই বসে রয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − ten =