সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙ্গর :: বুধবার ১৯,জুলাই :: আহত তৃণমূল নেতা হাতেম মোল্লার স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে ভুগছেন। আইএসএফরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও আইএসএফ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার পর এলাকায় রুটমার্চ চালাচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ।
ভাঙড়ে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার পিছনে মদত দিচ্ছে বিজেপি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী বর্তমানে ভাঙড়েরই একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। বুধবার সেখানেই গুলিবিদ্ধ দলীয় নেতাকে দেখতে যান সওকত মোল্লা ।
সেখানে এসে সওকত বলেন, “ভাঙড়ে কেউ নিরাপদ নন। আরাবুল, হাকিমুল কেউ নিরাপদ নন। যেভাবে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও বোমা-গুলির বৃষ্টি চলছে, তাতে আর বলার কিছু নেই। সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ কঠোর পদক্ষেপ করুক।”
তিনি আরও জানান, “১৪৪ ধারা উঠলে, আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন জারি রাখব। তিন জন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে। আর আইএসএফের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের এনকাউন্টারে। বিডিও ভয়ে অফিসে আসছেনা।”পুলিশের যে কিছুটা হলেও নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, “এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই যে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নেই। পুলিশের একটা অংশ তো নিষ্ক্রিয়।
১৪৪ ধারার মধ্যে কীভাবে গুলি চলে?” তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, “এর পিছনে বিজেপির সম্পূর্ণ মদত রয়েছে। এই কথাটা বারবার বলছি। ওরা রাজনৈতিক ভাবে হেরে গিয়েছে। তাই বাংলাতে ৩৫৬ ধারা জারি করার জন্য এই ধরনের গেম করছে।”
সওকত মোল্লার পাশাপাশি ছিলেন আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, হাকিমুল ইসলাম, আহসান মোল্লারা। প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন আরাবুল ইসলামও। তিনি বলেন, আমার আর আমার ছেলেকে খুন করার চক্রান্ত করছে আইএসএফ। সবাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।