নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: দেশের একটা বড় অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো দেশ থেকেই বর্ষা বিদায় নেবে। তবে তারই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় কোম্পাসু আঘাত হানার পরে তার প্রভাব বঙ্গোপসাগরেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ।
দক্ষিণ চিন সাগরে ইতিমধ্যেই আঘাত হেনেছে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কোম্পাসু। যাকে ক্যাটেগরি-১ হ্যারিকেনের সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে। হংকং-এর দক্ষিণ-পূর্বে এবং ম্যানিলার উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে তা অবস্থান করছে। ঘন্টায় ২০ কিমি বেগে পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে সেটি। এই ঘূর্ণিঝড়ে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিমি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন আবহবিদরা। কোম্পাসু চিনের হাইনান প্রদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে।
এরপর ওই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি হারিয়ে থাইল্যান্ডের ওপরে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে। পরে তা ১৬ অক্টোবর নাগাদ মার্তাবান এপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের ওপর আসতে পারে। উপযূক্ত আবহাওয়া তা ফের শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়ার যেসব মডেল রয়েছে, তাতে বঙ্গোপসাগরে এসে এই নিম্নচাপ আরও সক্রিয় হয়ে শক্তি বাড়াতে পারে।
সেই কারণে উত্তর আন্দামান সাগর এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিরন্তর পর্যবেক্ষণ জরুরি বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট ওয়েদের। কেননা ইতিমধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, যা বুধবার নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। পরবর্তী সময়ে দিন তিনেক ধরে আন্দামান নিকোবর দীপপুঞ্জে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।