সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: শুক্রবার ১,সেপ্টেম্বর :: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণের পর জেলায় বেআইনি বাজিকারখানার হদিস পেতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানার বন্ধ করতে এবার শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান।
পুলিশি অভিযান শুরু হতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে বেআইনি বাজি। উৎসবের মরসুমে চোখ ধাঁধানো বাজির কথা উঠলে জেলার অন্যতম বাজির আড়ত বারুইপুরের চম্পাহাটির হাড়ালের নাম উঠে আসে। দত্তপুকুরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তাই এবার বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশের নজর এবার বারুইপুরের চম্পাহাটি।
শুক্রবার বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে এবার বেআইনি বাজির কারখানার হদিস পেতে এবার এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি শুরু করল পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি ছাড়াও জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা এদিন ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি তৈরির সরঞ্জাম ও নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে ।
এদিন অভিযানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ। তিনি বলেন, এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানার হদিস পেতে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো শুরু হয়েছে । ড্রোন উড়িয়ে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে । এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশের অভিযানের কথা জানতে পারায় বহু বাজি কারখানার মালিক ইতিমধ্যেই এলাকা ছাড়া। তাদের হদিস পেতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান জারি থাকবে । উৎসবের মরশুমে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির জন্য এলাকার মানুষজনদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে ।
পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির লাইসেন্স খুব শীগ্রই এই বাজি কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজন যাতে পেতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে । এলাকায় বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইরকম অভিযান আগামীদিনেও জারি থাকবে।