ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কয়লাখনি দূর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ এবার সেলুলয়েডে , মুক্তির অপেক্ষায় ” মিশন রানিগঞ্জ”

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: আসানসোল :: সোমবার ১১,সেপ্টেম্বর :: প্রায় সাড়ে তিন দশক আগের কথা। ১৯৮৯ সালের ১৩ নভেম্বর। ঐ দিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জের কয়লাখনি এলাকার ইসিএলের ভূগর্ভস্থ মহাবীর কোলিয়ারিতে আচমকা দামোদর নদীর জল ঢুকে পড়ে।

সেই সময় ঐ কয়লাখনির ভেতর বা আন্ডারগ্রাউন্ডে ২৩২ জন কর্মী কাজ করছিলেন। জলমগ্ন খনির ঐ ভেতর থেকে কোনক্রমে নিজেদের প্রাণ নিয়ে ১৬১ জন কর্মী উপরে উঠে আসেন। জলমগ্ন ঐ খনি গর্ভে থেকে যায় ৭১ জন কর্মী। সেই ৭১ জনকে উদ্ধারের জন্য ইসিএলের মাইনস রেসকিউ স্টেশন নানান পদ্ধতি শুরু করলেও, ক্রমশ সংকট ঘনীভূত হতে থাকে।

আর এমন অবস্থায় তখন ইসিএলের অ্যাডিশনাল চিফ মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার যশবন্ত সিং গিল নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসেন খনি গর্ভে আটকে থাকা কর্মীদের উদ্ধারের জন্য। তারই মাথা থেকে বেরিয়ে আসে এক বিশেষ ধরনের ক্যাপসুল। ইস্পাত দিয়ে তা তৈরি করা হয় তার টিমের মাধ্যমে ইসিএলের সোদপুর ওয়ার্কশপে।

সেই ক্যাপসুল জলমগ্ন খনির ভেতরে নামিয়ে তিনি তিন দিনের মাথায় প্রথম উদ্ধার করেন একজন অসুস্থ কর্মীকে। তারপর ১৬ নভেম্বর আরো ৬৪ জন অর্থাৎ মোট ৬৫ জনকে উদ্ধার করে আনেন সেই ক্যাপসুল দিয়ে। ৬ জন মারা গেছিলেন এই দুর্ঘটনায়।

ভারতবর্ষের কয়লা খনির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা। এমন একটা ঘটনায় তিনদিন পরে জীবন্ত অবস্থায় ৬৫ জন সহকর্মীকে নিজের তৈরি ক্যাপসুল তৈরি করে উদ্ধার করার জন্যই পরবর্তীকালে তার নাম “ক্যাপসুল গিল” হিসেবে পরিচিত হয়।

সেই যশবন্ত সিং গিলকে সামনে রেখে টিনু সুরেশ দেশাই ” মিশন রানিগঞ্জ ” নামে একটি সিনেমা করছেন। ঐ সিনেমার পোস্টার চারদিন আগেই রিলিজ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজোর আগেই আগামী ৬ অক্টোবর এই সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছে। যশবন্ত সিং গিলের চরিত্রে অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার। রয়েছেন পরিণীতা চোপড়াও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =