নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: সংবাদ প্রতিদিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে প্রকাশ দশমীর সন্ধেয় বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি তরুণী। পরিবর্তে জঙ্গল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মহিলার বন্ধুর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। মহিলাকে কি ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে, উঠছে সেই প্রশ্নও। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমানের বাসিন্দা ওই তরুণীর বেশ কয়েক বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাঁর। সন্তানদের নিয়ে আপাতত বাপের বাড়িতেই থাকেন তরুণী। সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। দশমীর সন্ধেয় বাইকে চড়ে ওই যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতেই বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও তাঁর বাবাকে জানিয়েছিলেন। তবে রাত বাড়লেও বাড়িতে ফেরেননি তরুণী। দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন তাঁর পরিজনেরা। শুরু হয় খোঁজখবর।
বেশ কিছুক্ষণ পর আউশগ্রামের মলডাঙ্গা আদিবাসীপাড়ার কাছে একটি জঙ্গলে ওই তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেয়। প্রথমে ওই তরুণীকে জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা হয় তাঁর। তারপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যান। তরুণীর খোঁজখবরও নেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন। পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেও ওই মহিলা অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তার জেরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাকে পাওয়া গেলে ঘটনার রহস্যের জট কাটবে বলেই আশা তাঁর। তরুণীকে কি তার বন্ধু ধর্ষণ করেছিল, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।