মোট আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ভালো করে না দেখলে বোঝাই যাবেনা এটা জলাজমি না রাস্তা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: শনিবার ২৩,সেপ্টেম্বর :: রাস্তা না জলজমি বোঝা দায়। আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় ‌ যাতায়াতে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে ছাত্রছাত্রী ,অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অবিলম্বে নতুন রাস্তার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রী , শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতিকী বিক্ষোভ।

পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার ‌ বহু প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয় কৃষ্ণদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে সূচনা হয়েছিল ১৯০৫ সালে। তখন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে বলা হত টোল। পুরাতন সেই টোল আজ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিণত হয়েছে ১৯৬০ সালের পর থেকে।

এই স্কুলের সামনে দিয়ে যে পাকা রাস্তা ‌চলে গিয়েছে । সেই রাস্তা দিয়ে এক সময় স্বামী বিবেকানন্দ যেমন হেঁটে গিয়েছেন তেমনি বিদ্যাসাগর এই রাস্তা দিয়েই গিয়েছেন । মহাপুরুষদের পায়ে হাঁটা সেই ঐতিহ্য বাহী রাস্তা আজ নেই বললেই চলে। কাদা আর কাদা । জল আর জল ।

পিচ রাস্তা থেকে কৃষ্ণদেবপুর বাজার থেকে পুরাতন হাটতলা মোট আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ভালো করে না দেখলে বোঝাই যাবেনা এটা জলাজমি না রাস্তা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ২২০ জন। কাদাতে এতটাই খারাপ অবস্থা স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা। স্কুলে এলে ‌ পিছলিয়ে গিয়ে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু ‌ ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরা সমস্যায় পড়েছেন সকলেই ।

টোটো চালকরা ‌টোটো নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে আসতেই বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। সেই কারণেই টোটো চালকরা ওই রাস্তা দিয়ে বলতে গেলে যাতায়াত প্রায় বন্ধই করে দেওয়াতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন এলাকার সকলে। বহুবার বিডিওকে দরবার করেও কোন লাভ হয়নি।

এলাকার জনপ্রতিনিধিকে বারবার বলেও লাভ না হওয়ায় অবশেষে প্রতীকি বিক্ষোভে সামিল হলেন কৃষ্ণদেব প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা , শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। এই বিক্ষোভ প্রশাসনের কানে কি পৌঁছাবে? এখন দেখার বিষয় কবে তৈরি হয় এই রাস্তা সে দিকে তাকিয়ে সকলেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =