নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরে আসার ব্যাপারে আবার ভাবনাচিন্তা করতে পারেন রাহুল গাঁধী। শনিবার পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি এক দলীয় সূত্রের। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে কার্যকরী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ওয়েনাডের সাংসদ। তার পর থেকে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সনিয়া গাঁধী। ওই পদে স্থায়ী ভাবে রাহুলকে চেয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে আর্জি জানিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্জাব, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি। তার পরই কংগ্রেস সূত্রের দাবি, রাহুলই জানিয়েছেন, পুনরায় দলের সভাপতি পদে ফিরে আসার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন তিনি।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে টানাপড়েনের আবহে বেশ কয়েক জন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদদের মতো নেতারা। তাঁদের দাবি, কোনও স্থায়ী সভাপতি না থাকায় সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়েছে কংগ্রেস। শনিবারের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে ওই বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে সনিয়া বলেছেন, ‘‘আপনারা যদি অনুমতি দেন, তা হলে আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী হতে পারি। আমি বরাবরই খোলামেলা পরিবেশে বিশ্বাস রেখে এসেছি। তাই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কী প্রয়োজন?’’