নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: মঙ্গলবার ২৬,সেপ্টেম্বর :: সরকারি হাসপাতালে প্রসূতি গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত। চিকিৎসার গাফলিতিতেই মৃত্যু হয়েছে গৃহবধুর অভিযোগ পরিবারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী । ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের।
জানা যায় গত পরশুদিন কোতোয়ালি থানার কুলগাছি এলাকা থেকে পাপিয়া পারভিন নামে ২৩ বছরের এক গৃহবধু প্রসুতি অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তারপরের দিন অর্থাৎ গতকাল তাকে তড়িঘড়ি সিজার করা হয়। তার একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। এরপর গতকাল রাতে হঠাৎ চিকিৎসকদের তরফে রক্ত আনতে বলা হয়।
পরিবারের অভিযোগ রক্ত আনতে বলার ১০ মিনিটের মধ্যে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়। তাদের দাবি চিকিৎসার গাফিলতির কারণে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু ঘটেছে। যদি রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকতে পারে তাহলে আগে কেন জানানো হলো না। এই অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সামনে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে রোগীর আত্মীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবারের তরফে হাসপাতাল সুপারকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা জানানো হয়।
যদিও অন্যদিকে চিকিৎসকদের দাবি ওই প্রসূতি মায়ের প্রেশার অনেকটাই বেড়ে গেছিল। তবে সিজার করার আগে প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ছিল। সব সময় চিকিৎসকরা তাকে দেখাশোনা করেছে।