রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাথরপ্রতিমার প্রান্তিক এলাকার মানুষদের জন্য চারটি আধুনিক জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করল রাজ্যের পরিবহন দপ্তর।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: পাথর প্রতিমা :: মঙ্গলবার ২৬,সেপ্টেম্বর :: জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ এটাই সুন্দরবনের মানুষের জীবনযাপনের রোজনামচা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা দ্বীপের মানুষদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হলো নদীপথ। আর এই পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন দ্বীপ এলাকার নদীগুলিতে ওত পেতে রয়েছে সাক্ষাৎ মৃত্যু।

নদীতে রয়েছে প্রচুর কুমির । সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত তাদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। পাথরপ্রতিমায় যে সকল দ্বীপগুলি রয়েছে সেই সকল দ্বীপে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম ভরসা নৌকো বা ভুটভুটি। দ্বীপের যে সকল জেটিঘাট গুলি রয়েছে সে সকল জেটিঘাট গুলির বেহাল দশা।

সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বেহাল জেটির কারণে কার্যত ভাটার সময় কাদার মধ্যে দিয়ে চলাফেলা করতে হয়। বেশ কয়েকবার মানুষজনদের কুমিরের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল। প্রান্তিক দ্বীপ এলাকার মানুষজন এই বেহাল জেটি সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পর অবশেষে মিলল সুরাহা ।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পাথরপ্রতিমার প্রান্তিক এলাকার মানুষদের জন্য চারটি আধুনিক জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করল রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। এই জেটি গুলিতে থাকবে আধুনিক ব্যবস্থাপনা। পাথরপ্রতিমা দ্বীপের অচিন্ত্য নগর থেকে বনশ্যামনগর খেয়াঘাটে এই আধুনিক জেটি নির্মাণ করা হবে।

এছাড়াও কালীবঙ্গাল ঘাট ও চাঁদমারি ঘাটে এই আধুনিক মানে জেটি নির্মাণ করা হবে। এই জেটি নির্মাণের কাজের শুভ শিলান্যাস করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − four =