নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: শান্তিপুর :: বৃহস্পতিবার ২৮,সেপ্টেম্বর :: এক বনেদি বাড়ির কথা আজ বলবো ,নদীয়ার শান্তিপুর বড় গোস্বামী বাড়ির ,আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো দেবী কাত্যায়নীর পুজো চলে আসছে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে । এখানে দেবী কাত্যায়নী রূপে পুজিত হন। দেবীর মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
অন্যান্য দুর্গা প্রতিমা যেরকম আমরা দেখি, বা বনেদি বাড়ির দুর্গা প্রতিমা যেরকম দেখি ,সেরকমটি নয় এখানে দেবী মূর্তির দুটি হাত বড় ,অর্থাৎ এই দুটি হাত দিয়েই সংহারের কথা বোঝানো হয়েছে । কিন্তু বাকি আটটি হাত অনেকটাই ছোট । বড় গোস্বামী বাড়ির সদস্যদের মতে এই পুজো আনুমানিক ৪০০ বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে চলে আসছে ।
এই পুজোর ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে গেলে তারা জানান, একদিন তাদের ইষ্ট দেব রাধারমন হঠাৎ মন্দির থেকে অন্তর্ধান হয়ে যান ।তারপর বাড়ির গৃহকর্তীরা বাড়ির মন্দিরের উঠোনে বসে দেবি কাত্যায়নির ব্রত পালন করতে থাকেন । এরপর তিনদিন পর বাড়ির যিনি জ্যেষ্ঠ কর্তৃ তাকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, রাধারমন মূর্তি কোথায় রয়েছে ।
তারপরেই পাওয়া যায় তাদের ইষ্টদেব রাধারমনের মূর্তি এরপর থেকেই দেবির পুজো শুরু হয় নদীয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়িতে ।একেবারেই জৌলুষ হীন এই পুজো । এই পুজোতে সাবেকি মাতৃ মূর্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই একমাত্র অবলম্বন । দেবী মূর্তির আরেকটি বিশেষ দিক লক্ষ্য করা যায় ,এখানে দেবীর সন্তান কার্তিক এবং গণেশ বিপরীত স্থান এ অবস্থান করেন ।