পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্সের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রুবি খাতুনের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: শনিবার ৩০,সেপ্টেম্বর :: পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্সের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার মেয়েরী ২ নম্বর ব্লকের বড়পলাশন ২ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রুবি খাতুনের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান।

গ্রামের অসুস্থ মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে প্রায় বছর দশেক আগে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সংসদ ড: মমতাজ সংঘমিতা সাংসদ তহবিল থেকে বড়পলাশন ২গ্ৰাম পঞ্চায়েতে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন।সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স টি সেসময় চললেও বর্তমানে তা বেহাল অবস্থায় পরে আছে পাঞ্চায়েতের ফা৺কা মাঠে। যার ফলে চরম সমস্যায় পরেছেন স্থানীয় মানুষ জন।

বড়পলাশন ২ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চেতের বর্তমান উপ প্রধান সেখ ইউসুফ আলী বলেন আমরা পঞ্চায়েতের পদে বসে জানতে পারলাম গ্ৰামের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ড: মমতাজ সংঘমিতা তার সাংসদ তহবিল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন।সেই অ্যাম্বুলেন্সটি এতো বছর ধরে কি ভাবে চলেছে তার আয় ব্যায় কি হয়েছে তার কোনো তথ্য প্রাক্তন প্রধান রুবি খাতুন জানাননি।

এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের চাবিও পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধানের কাছে হ্যান্ডোভার করেন নি।অ্যাম্বুলেন্সের চাবি এবং সমস্ত তথ্য প্রদানের জন্য প্রাক্তন প্রধান কে চিঠি করা হলে সেই চিঠি নিতে অস্বীকার করেন। বড়োপলাশন ২ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চেতের প্রাক্তন প্রধান রুবি খাতুন বলেন এই অ্যম্বুলেন্সটি আমার আগের বোর্ডে দেওয়া হয়েছিলো।সেই বোর্ড স্থানীয় এক ব্যাক্তিকে চালাবার জন্য দিয়েছিল সেই থেকেই ওই ব্যক্তি চালাত।

আগের বোর্ডের প্রাক্তন উপ প্রধান সেখ আবুল আওয়াল সাহেব বলেন একজন প্রধান প্রাক্তন প্রধান কে এই ধরনের চিঠি করাটা আইন বহির্ভূত। সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি পঞ্চায়েতে রেজুলেশন করে স্থানীয় এক গাড়ি চালক কে দেওয়া হয়। রেজুলেশন উল্লেখ থাকে ওই ব্যক্তি গ্ৰামের মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি চালাবে।অ্যাম্বুলেন্সটি চালানোর জন্য কোনো অর্থ পঞ্চায়েতে দিতে হবেনা। এবং অ্যাম্বুলেন্স মেরামতি ও অ্যাম্বুলেন্স চালককেও গ্ৰাম পঞ্চেতে কোনো অর্থ দেবেনা।

রেজুলেশনে এও উল্লেখ থাকে য়ে মেমারী থেকে বর্ধমান হাসপাতাল পর্যন্ত ৮০০ টাকা এবং মেমারি থাকে কলকাতা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পনেরশো টাকা করে রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − thirteen =