নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: রবিবার ৮ই,অক্টোবর :: যেমন কথা তেমন কাজ।দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরতেই নিজের ব্যক্তিগত অর্থে জল নিকাশের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিজিয়া সুলতানা।তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃনমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে তরজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ত মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগাছি পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া।জল-যন্ত্রণায় ভুগত প্রায় শতাধিক পরিবার।স্থানীয় তৃনমূল নেতা মনিরুল ইসলামকে জল নিকাশের জন্য ড্রেন নির্মাণের দাবি করেছিলেন পরিবারগুলি।তবে জমি সমস্যার কারণে আটকে ছিল সেই কাজ।
সমস্যা মিটতেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিজিয়া সুলতানা ও তার স্বামী মনিরুল ইসলাম ব্যক্তিগত দুই লক্ষ টাকা অর্থে ২৬০ ফিট ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করলেন।এতে খুশি এলাকার মানুষজন।তৃণমূল নেতা তথা সভাপতির স্বামী মনিরুল ইসলাম এলাকার কংগ্রেস নেতা জিয়াউর রহমানকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন ‘আমরা পুরুষানুক্রমে এই এলাকার বাসিন্দা কিন্তু এই জিয়াউর রহমান চৌধুরী একজন এলাকার ফুটপাতের মস্তান।
এরা এলাকার কোন উন্নয়নে সামিল হবেনা,কিন্তু কোন উন্নয়নমূলক কাজ হলে তার সমালোচনা করে থাকেন।’অপরদিকে কংগ্রেস নেতা জিয়াউর চৌধুরী বলেন,প্রায় পনেরো দিন আগে মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আয়েশা খাতুন এর স্বামী খলিলুর রহমান পাম্প মেশিন লাগিয়ে জল বার করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত থেকে ড্রেন নির্মাণ করার কথা বলেছিলেন।
ইতিমধ্যে নিজের নাম কামানোর জন্য তড়িঘড়ি এই ড্রেনের ব্যবস্থা করছেন তৃণমূল নেতা । তবে যে তাকে ফুটো মস্তান বলছেন সে ২০১৭ সালের বন্যা ত্রাণের লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের পরিবারের নামে আত্মসাৎ করেছে। এলাকার সবাই এই বিষয়টি জানেন।