কেরালায় ভারী বৃষ্টি–ভূমিধসে ২১ জনের প্রাণহানি

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কেরালা :: কেরালায় ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোত্তায়াম ও ইদুক্কি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশি প্রাণহানিও ঘটেছে এ দুই জেলায়। এ পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কোত্তায়ামে ১২ জন এবং ইদুক্কিতে ৫ জন নিহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গতকাল শনিবার সারা রাত বৃষ্টি ঝরেছে। আজ সকালে এসে বৃষ্টি কমে আসে। বৃষ্টিপাতের কারণে কোত্তায়াম জেলার মানিইয়ার বাঁধের গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় একই অবস্থা ইদুক্কি জেলায়।দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের অনুরোধে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কেরালার অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন।

জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী দুর্যোগকবলিত অঞ্চলগুলোতে ১১টি দল মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে আজ ও কাল সোমবার সবরিমালা মন্দিরে ভক্তদের না যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে উদ্ধারকাজ জোরদার করতে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি শারীরিক জটিলতা থাকা এবং টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দুর্যোগে স্বজন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্গতদের সহায়তা দিতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমি সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করি।’বন্যাদুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীও। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি কেরালার মানুষের সঙ্গে রয়েছি। দয়া করে নিরাপদে থাকুন এবং নিরাপত্তা সতর্কতাগুলো মেনে চলুন।’

করোনায় দীর্ঘ বন্ধের পর কলেজগুলো আগামীকাল থেকে খোলার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে খোলা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =