নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: রাজস্থান :: ফেসবুকে নারী সেজে ফেক আইডি খুলত এই চক্র। সেই ফেক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েন্ট পাঠাত বিভিন্ন জনকে। কেউ যদি সেই রিকোয়েন্ট অ্যাসসেপ্ট করত তাহলে তার সঙ্গে কিছুদিন চ্যাটিং চলত। এক সময় টার্গেটকে প্রলুব্ধ করে ভিডিও চ্যাটে অশ্লীল কাজ করতে বলা হতো সেই ফেক আইডি থেকে। আর সেই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করে টার্গেটকে ব্ল্যাকমেইল করত প্রতারক চক্রটি। লোকলজ্জার ভয়ে ওই চক্রের হাতে মোটা অর্থ তুলে দিতেন টার্গেট। এভাবে প্রতারক চক্রটি বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের রাজস্থানে এই প্রতারক চক্র সক্রিয় ছিল বলে শনিবার সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।পুলিশ জানায়, তারা এ ধরনের অন্তত নয়টি অভিযোগ পাওয়ার পর এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। পুলিশের সাইবার বিভাগের কর্মকর্তা কেপিএস মালহোত্রা জানান, এক অভিযোগকারীকে ভিডিও দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করা হয়।
পুলিশ তদন্তে দেখাতে পায়, ওই প্রতারক চক্রের ফোন নাম্বারগুলো আসাম থেকে ইস্যু করা। তবে সেগুলো ব্যবহার করা হয় রাজস্থানের ভরতপুর জেলা থেকে। পরে পুলিশ ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে ওই প্রতারক চক্রের সন্ধান পায়।ওই প্রতারক চক্রের কাছে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানো হয়েছিল সেই সূত্র ধরে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাকিমুদ্দিন (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার তিন সহযোগী পালিয়ে যায়।অচেনা কারো কাছ থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েন্ট অ্যাকসেপ্ট করা ও এ ধরনের প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।