নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: শুক্রবার ১৩,অক্টোবর :: হাওড়া স্টেশন চত্বর লাগোয়া যেসব হোটেল থেকে সবজিমন্ডি পর্যন্ত যেসব দোকানগুলি আছে সেই সব দোকান গুলির মধ্যে বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ।
এই এলাকাগুলি পড়ছে গোলাবাড়ি থানার অন্তর্গত।
ব্যস্ত হাওড়া স্টেশন এবং হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন রয়েছে দূরপাল্লা থেকে লোকাল সমস্ত রকম বাসের স্ট্যান্ড। এইসব অঞ্চল দিয়ে নিত্যদিন অগণিত মানুষ ট্রেন যাত্রী থেকে বাস যাত্রী চলাফেরা করে। এই অঞ্চলেই রয়েছে হাওড়ার বৃহত্তর পাইকারি মাছের বাজার এবং পাইকারি সবজি বাজার।
যেহেতু এই সব ক্ষেত্রে সারা হাওড়া ও হাওড়ার বাইরে থেকেও অগণিত মানুষ কেনাকাটা করতে আসে এই বাজার গুলিতে কিন্তু এদেরকে নির্ভর করেই যত্রতত্র অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে মদ।
প্রশ্নচিহ্ন এখানেই উঠে যায় বিগত বছরে মালি পাঁচঘড়া থানার অন্তর্গত ঘুসুড়িতে অবৈধভাবে বিকৃত মদ খেয়ে প্রাণ গেছিল বহু মানুষের। তারপরেও হাওড়া প্রশাসনের কোন রকম ভাবে টনক নড়েনি। কিছুদিন বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি মদ বিক্রেতাদের ধরপাকড় শুরু হলেও পুনরায় শুরু হয়ে গেছে সারা হাওড়া জুড়ে রমরম করে মদের ব্যবসা।
সাধারণ মানুষের বক্তব্য সরকারের মদ বিক্রি থেকে প্রচুর পরিমাণ রেভিনিউ আয় হয়। তাতে যদি কিছু মানুষ মরে তাহলে সাময়িক তৎপরতা দেখা যায় প্রশাসনিক স্তরে। কিছুদিন পর অদৃশ্য শক্তির অঙ্গুলিহেলনে শুরু হয়ে যায় রমরমিয়ে মদের ব্যবসা।
তেমনি চিত্র ধরা পরল হাওড়া স্টেশন লাগোয়া বেশিরভাগ দোকান ও হোটেলে। কিন্তু পুলিশ সর্বদাই অতন্দ্র প্রহরীর মত দিনে রাত্রে পাহারা দিচ্ছে এইসব অঞ্চলগুলি। প্রশাসনের নজরে পড়ছে না এই বেআইনি মদের ব্যবসা।