চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বরতলার হালদার বাড়ির পুজো হয় পুরনো রীতি মেনেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: শুক্রবার ১৩,অক্টোবর :: চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বরতলার হালদার বাড়ির পুজো হয় পুরনো রীতি মেনেই। কথিত আছে, একদা স্ত্রী কুসুম কুমারীকে নিয়ে পূর্বসূরী নবীনচন্দ্র হালদার এ বাড়িতে পুজোর সূচনা করেছিলেন। কাছেই গঙ্গাপাড়ের ষন্ডেশ্বরতলা মন্দির ছাড়া তখন হাতেগোনা কয়েকটি বাড়ি ছিল সেখানে। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল হালদার বাড়ি।

ষষ্ঠীর দিন বোধনের পর পরিবারের পুরুষরা মাকে বরণ করেন। সপ্তমীর দিন দালানে শুরু হয় পুজো। ওইদিন কলাবৌ স্নান। মহাষ্টমীতে হয় মায়ের মূল আরাধনা। নবমীতে কদ বেল নিবেদন করা হয়। মায়ের ভোগে থাকে শুক্তো, তেঁতুলের টকের মতো খাবারও। দশমীতে মহিলারা মাকে বরণের পর পুরুষরা প্রতিমা কাঁধে করে গঙ্গায় নিয়ে বিসর্জন দেন। এরপর বাড়িতে মাছ রান্না করার মধ্য দিয়ে নিয়মভঙ্গ করা হয়।

বর্তমান প্রজন্মের ছেলে হলেও পরিবারের সদস্য দেবজ্যোতি পুজোপাঠেই ব্যস্ত থাকেন।পরিবারের বধূ সোমা জানান, পুজোর ক’দিন বাইরের ঠাকুর দেখতে যাওয়াই হয় না। ঘরেই সকলের সাথে আনন্দে মাতি। পাশাপাশি সকালে মিলে জোগাড়যান্তিতও খুশিতে একটা আলাদা মাত্রা এনে দেয়। সোমার স্বামী বিশ্বনাথের আবার পুজোর ক’দিন সকলের সাথে খাওয়া-দাওয়ার পর্যায়টি সব থেকে আনন্দদায়ক বলে মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 2 =