সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: রবিবার ১৫,অক্টোবর :: কথায় আছে “নদীর ধারে বাস তার ভাবনা বারো মাস”। প্রতিবছর বেহাল নদীবাঁধের কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের। কোন স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নেই তাই অল্প জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। বারবার প্রশাসনকে জানিযেও কোনরকম সুরাহা হয়নি।
প্রতিবছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে নদীবাঁধ মেরামতি করা হয় আর সেই অস্থায়ী নদী বাঁধ রক্ষা করতে পারে না এলাকাবাসীদের। সুন্দরবনের অধিকাংশ এলাকায় এখনো পর্যন্ত রয়েছে মাটির নদী বাঁধ প্রবল বৃষ্টিতে ও ভরা কোটালের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই মাটির নদী বাঁধ। অধিকাংশ জায়গায় এই মাটির নদী বাঁধ ভেঙে গিয়ে এলাকার প্লাবিত হয়। নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিঘে পর বিঘে চাষের জমি।
এলাকার জলমগ্ন থাকার কারণে ত্রাণ আশ্রয় নিতে হয় এলাকাবাসীদের। এবার স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবিতে সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। সুন্দরবনের কুলতলী, নামখানা সহ গঙ্গাসাগরের ,ধবলাহাট শিবপুর এলাকায় স্থায়ী নদী বাঁধের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয় এলাকাবাসীরা ।
রবিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা বেহাল নদীবাঁধের ওপর হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এলাকাবাসীদের দাবি বেহাল নদী বাঁধ থাকার কারণে প্রতিবছর বর্ষার সময় তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবারে সদস্যদের নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়। বেহাল মাটির নদী বাঁধ। রক্ষা করতে পারে না উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের। বারবার প্রশাসনের কাছে স্থায়ী কংক্রিট নদীবাঁধে জন্য আবেদন জানালেও কোন কাজ হয়নি।