নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: মঙ্গলবার ১৭.অক্টোবর :: রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এই অভিযুক্তর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ আছে বলেই আদালতে দাবি ইডির। সূত্রের খবর ইডি একটি ডায়েরি পেয়েছে।
সেখানে দেওয়া হিসেব থেকে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের প্রাপ্য রেশনের আটা সরানো আগেও হয়েছে। কত আটা সরানো হত তা রেজিস্ট্রারে লেখা থাকতো। কার কাছে যেত সেটাও লিখে রাখা হত। সেই অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রার বুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি আদালতে দাবি করে, “এরা জানত কেউ এদের ছুঁতে পারবে না। পুলিশের মামলার পরেও এরা নিজেরা হাতে লিখে রাখত যে কত কী সরানো হয়েছে। তল্লাশির সময় আমরা ১০৯টি স্ট্যাম্প ও সিল পেয়েছি। সরকারি সিল কী করে বাকিবুরের কাছে এল? বাকিবুর কোনও জবাব দিতে পারেনি। ফলে সন্দেহ বাড়তে থাকে ইডির।
বাকিবুর তার ৬ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়িয়ে কালো টাকা সাদা করেছে। আমরা ৫০কোটি, ৫০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৫০ টাকার হদিশ পেয়েছি। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে টাকা সাইফোন করা হয়েছে। বাকিবুরের আত্মীয় যোগও মিলেছে। আত্মীয়দের স্টেটমেন্ট নেওয়ায় জানা যায়, বাকিবুরের টাকা আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে।এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। কারা কারা এই চক্রে যুক্ত তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এরা দুর্নীতির টাকা সরিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ৩টি এফআইআর নিয়ে মামলা করেছি। কৃষ্ণনগর, ধুবুলিয়া ও কোতওয়ালি থানার মামলা নিয়ে এফআইআর করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের বিনামূল্যে প্রাপ্য রেশনের আটা চুরি করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, বাকিবুরের আইনজীবীর পাল্টা দাবি করে আদালতে, “আমরা জামিন চাইছি না। আমরা তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমাদের শুনানির জন্য সময় দেওয়া হোক।’ দুপক্ষের সওয়াল আইনজীবীর সওয়াল জবান শুনে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। অর্থাৎ ১২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ।