নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার আরও এক।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বুধবার ১৮,অক্টোবর :: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির এক কর্তা। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতের নাম কৌশিক মাজি। এর আগে সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল।

গত মাসে ওএমআর সংস্থার যে দুই আধিকারিকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৌশিক। কৌশিকের দাশনগরে বাড়ি, অফিস-সহ ছ’টি জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এ ছাড়াও সেই সময় সল্টলেকের সৌরভ মুখোপাধ্যায় নামে এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছিল, তাঁদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক-সহ বহু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

সিবিআই সূত্রে খবর, এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ার উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। কৌশিক সেই সংস্থারই অন্যতম অংশীদার। নিয়োগকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন সোমবার দুপুরে এই সংস্থারই এক কর্মী পার্থ সেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পার্থই দুর্নীতির ‘মূল চাবিকাঠি’। সোমবার আলিপুর আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, ওএমআর শিটের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে সরাসরি ভাবে যুক্ত পার্থ। তিনিই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছিলেন। পরে সেই তালিকা পর্ষদ অফিসে পৌঁছয়। তালিকায় নাম থাকা বেশ কয়েক জনের চাকরিও হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই।

আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পান তদন্তকারীরা। সামনে আসে ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির ঘটনা। সিবিআইয়ের দাবি, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামে সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থাকে ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল প্রাথমিক পর্ষদ।

প্রসঙ্গত, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বৈধতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই গত সেপ্টেম্বরে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা। কোম্পানির অফিস, গোডাউন থেকে শুরু করে কর্তা, কর্মীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

১৯ শে অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ কৌশিক মাজির, আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত নির্দেশ দিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 13 =