নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রায়না :: বৃহস্পতিবার ১৯,অক্টোবর :: দুর্গাপুজো আসলেই রোজগারের আশায় বুক বাঁধেন বিভিন্ন পেশার মানুষ থেকে শুরু করে ঢাকিরাও। সেই জন্যই তো প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ঢাকিরা বরাত পেলেই শুধু কলকাতাতেও ঢাক বাজাতে যেতে কার্পণ্য করেন না। সারা বছর এই মানুষগুলো অন্যান্য বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
কিন্তু পুজোর মরশুম শুরু হতেই তারাই আবার কাঁধে তুলে নিয়েছেন ঢাক। হয়েছেন পেশাদার ঢাকি। তাই জোর কদমে শেষ মুহূর্তের বিভিন্ন ধরনের ঢাকের বোল ঝালিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হতেই এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা।
দুর্গাপুজোর আজ মহাপঞ্চমী। আজকের দিনেই রায়নার মিরেপোতা এলাকা থেকে ৮০ থেকে ১০০ জনের মতো ঢাকি রওনা দিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঢাক বাজানোর জন্য। কেউ যাচ্ছেন কলকাতা কেউ শ্রীরামপুর কেউ বা অন্য কোথাও।
বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর এই দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না ঢাকের বাদ্যি ছাড়া। ঢাকের উপর কাঠি পড়লেই সেই আওয়াজ মনকে ব্যাকুল করে তোলে। পাড়ার পুজোয় ঢাকের তালে নাচ, কিংবা ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ চলে। দুর্গাপুজোয় ঢাকের তাল কানে না আসলে পুজো বলে যেন মনেই হয় না। তাইতো সারাবছর খেটেও এই পুজোর কটা দিনও রেহাই নেই ঢাকিদের।
পুজোর সময়টা যেহেতু বাড়িতে থাকা হয়না তাই পরিবারের জন্য মন খারাপ তো থাকে। তবে যে সকল পূজা মন্ডপে ঢাক বাজাতে যান সেখানেই ঢাকের তালেই মেতে ওঠেন তারা। এই সময় কাজ নেই হাতে। তাই ঢাক বাজাতে গেলে দুটো পয়সা ইনকাম তো হয়, তেমনটাই বলছেন রায়না থানা এলাকার বেঁন্দুয়া গ্রামের ঢাকি প্রভাত দাস।