নবপত্রিকা স্নানের মধ্য দিয়ে মায়ের আগমন ঘটে মর্তে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: রবিবার ২২,অক্টোবর :: মহাসপ্তমী। এদিনই সকালে নবপত্রিকা স্নান করানোর প্রথা রয়েছে। এই নবপত্রিকাকে প্রচলিত কথায় কলাবউ বলা হয়। লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে বাংলার বধূর আকার দিয়ে গণেশের পাশে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় বলে একে গণেশের বউও বলা হয়ে থাকে।

নবপত্রিকা বাংলার দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নটি গাছের পাতা। তবে বাস্তবে নবপত্রিকা নটি পাতা নয়, নটি উদ্ভিদ। এগুলি হল – কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান।

একটি সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একত্র করে একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ।

এই নবপত্রিকা স্নানের মধ্য দিয়ে মায়ের আগমন ঘটে মর্তে। সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে চলছে নবপত্রিকা স্নান। বাগবাজার সারদা মায়ের ঘাটে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ থেকে শুরু করে বনেদি বাড়ির পুজোর নবপত্রিকা স্নান চলছে সকাল থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 1 =