রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাকিবুর রহমানের আরও ১৮টি সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি ।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: বৃহস্পতিবার ২,নভেম্বর :: আরও ১৮টি সম্পত্তির হদিশ রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তির তালিকা যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালা, কর্পোরেট অফিস, একাধিক সংস্থা, দুবাইয়ে জোড়া ফ্ল্যাট।এসবের খোঁজ তো মিলেছিল আগেই। জানা গেছিল, সিনেমায় টাকা ঢালার বাকিবুরের কারনামা।

এবার হদিশ মিলল আরও জমি-সম্পত্তির। ইডি সূত্রে খবর, ২০০৪-২০২১, ১৭ বছরে রকেটের গতিতে সম্পত্তি বেড়েছে বাকিবুরের। ইডি-র দাবি, নথি বলছে, সবথেকে বেশি সম্পত্তি কেনা হয়েছে ২০১১-র পরে। বেশিরভাগ কোম্পানির ডিরেক্টর বাকিবুর নিজে অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা লেনদেনের জন্যই একাধিক কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে অনুমান ইডি-র।

আমডাঙার সাধনপুর, বাদুড়িয়া পুরসভা এলাকার পর দিনকয়েক আগে ফের আমডাঙার দাদপুরে মিলেছে বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ। স্থানীয়রা দাবি করেন, আমডাঙার আধাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামে ২০১৬ ও ২০১৮-য় ২টি জমি কিনেছিলেন বাকিবুর। এই জমির মোট পরিমাণ ১১ বিঘা ৬ কাঠা। স্থানীয়দের দাবি, বাকিবুরের পরিকল্পনা ছিল, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্পে এখানে এফসিআই -এর গুদাম তৈরির।

কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর আগে, আমডাঙার সাধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাকিবুর রহমানের বিপুল জমি থাকার কথা জানা যায়। যেখানে চালকল তৈরির কথা ছিল। সেইমতো, জমিতে বালিও ফেলা হয়েছিল। কিন্তু, চালকল তৈরি হয়নি। বাদুড়িয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, বিঘার পর বিঘা জমি হুমকি দিয়ে কম টাকায় লিখিয়ে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =