সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ড হারবার :: গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তার গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল।কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুন কাণ্ডে ডায়মন্ড হারবার থেকে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে লালবাজারে নিয়ে গেল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা । আটক পরিচারিকা মিঠু হালদার, বিলাস হালদার (পরিচারিকা ছেলে) এবং তরুণ হালদার ৷
আটক মহিলা কাঁকুলিয়ার ওই বাড়িতে অতীতে পরিচারিকার কাজ করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ তার স্বামীকেও আটক করেছে পুলিশ ৷ এদিন ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাট এলাকা থেকে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডায়মন্ড হারবার থানাতে নিয়ে যায় ।
যদিও কাকুলিয়ার জোড়া খুন কাণ্ডে এই তিন জন কীভাবে যুক্ত, সে বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানায়নি । সম্প্রতি গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল৷ ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ৷ প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, খুনের পিছনে পরিচিত কেউ জড়িত৷
কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের তদন্তে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যায় তদন্তকারীরা ৷ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশনে চলে গিয়েছিল পুলিশ কুকুর ৷ তার থেকেই গোয়েন্দাদের অনুমান হয়, সম্ভবত ট্রেনে করেই ফিরে গিয়েছে খুনিরা ৷ সেই সূত্রেই এ দিন ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছয় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ এবং তদন্তকারীরা ৷ সেখান থেকেই মিঠু হালদার এবং বিলাস হালদার ও তপন হালদারকে আটকে করে প্রথমে জেরা করা হয় ৷
আটক বিলাস ও তপনকে কয়েকদিন আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারের নিয়ে গিয়েছিল গোয়েন্দারা । বিলাস ও তপনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিঠুর খোঁজ পায় দুঁদে গোয়েন্দারা। ডায়মন্ড হারবার কপাট হাট থেকে মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে ডায়মন্ড হারবার থানা তারপরে লালবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় । লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গড়িয়াহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে এমন টাই সূত্রের খবর ।
ধৃতদের সঙ্গে এই খুনের কী যোগ, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতেই থাকতেন সুবীরবাবুর পরিবার৷ সেই সময় ওই বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করত ধৃত মিঠু হালদার ৷