সূর্যদেব অস্ত গেলেই শিক্ষাঙ্গন বদলে যায় শুড়িখানায়

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলতলি  :: শুক্রবার ০১,ডিসেম্বর :: নামেই খুদেদের    শিক্ষাঙ্গন । ও টুকু খাতায় কলমে আর কঙ্কালসার চেহারায় । আসলে সূর্যদেব পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লেই এই শিক্ষাঙ্গনই বদলে যায় শুড়িখানায় । নিয়মিত বসে মদের আসর। সাথে থাকে গাঁজার সুখ টানও । এমনই দুরবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের ১১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
ঘরের ছাদ নেই বললেই চলে। দরজা জানালা কবেই খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা। ভেঙে ফেলা হয় রান্নার উনুনও। স্কুল ঘরেই মেঝেই পড়ে থাকে মাদকাসক্তদের ব্যবহারের অবশিষ্ট জিনিসপত্র । অতিরিক্ত সূরা পানের পর আবার অনেকেই পড়ুয়াদের বসার জায়গায় উল্টি ও করে রেখে  যায়। এমনি অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের । আর এই অবস্থাতেই চলছে স্কুল।
বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বসাই যায় না। শীতকালেও ঠান্ডায় ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থাই নেই। এছাড়া দরজা জানালা না থাকায় যখন তখন ঢুকে পড়ছে কুকুর , গরু , ছাগল সহ অন্যান্য প্রাণীও।  এই দুরবস্থার মধ্যেই বিগত কয়েকবছর ধরে চলছে এই স্কুল। বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সমস্যার মধ্যে রয়েছেন গর্ভবতী মায়েরাও। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় এখান থেকেই। অব্যবস্থার কারণে পড়ুয়ারাও পড়তে আসতে চাইছে না। দিদিমনি আছেন বটে তবে তিনি নাকি নিয়মিত পড়াতে আসেননা । এমনি অভিযোগ অনাচে-কানাচে ।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান পর্যাপ্ত কর্মী নেই। স্কুল ঘর ভাঙা । এই অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে সঠিক পরিবেশ ফেরানো হোক। উন্নতি করা হোক পরিকাঠামোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fourteen =