নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: রবিবার ১০,ডিসেম্বর :: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, একজন বলেছিলেন কালী মদ খায় আর মাংস খায়। আর একজন বলেছিলেন শিবের মাথায় কি যেন পরাতে হবে। এক বছরও গেল না সেই কালি মায়ের কৃপায় সাংসদ হারা হয়ে গেল একজন। নদীয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে শিলা দিদি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। নদীয়ার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর মঞ্চ ছাড়তেই বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়।
এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তাহলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। এখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে। অন্যদিকে তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখন নিজের পরিবারের বিয়ের আমন্ত্রণে যেতে ব্যস্ত। অন্যদিকে পথশ্রী প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি সবসময় শিলান্যাস করে বেড়াতেন। তার তাই নাম হয়েছিল শীলা দি।