নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: সোমবার ১১,ডিসেম্বর :: বসিরহাট এক নম্বর ব্লক গাছা আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গাছা হাই স্কুলে অভিনব উদ্যোগ নিল ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা। তৈরি হলো রক্তের ডেটা ব্যাংক।
আপদকালীন সময়ে সুস্থ রোগীর জন্য রক্তের খোঁজ মিলতে অনেক সময় কাল ঘাম ছুটতে হয় রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দালাল ফোড়েদের রক্ত নিয়ে কালোবাজারি কথা বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে। এবার সেই দিকে নজর দেখে অভিনব উদ্যোগ নিল সীমান্তের স্কুল।
তবে গ্রামের সাধারণ মানুষদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে এবার অভিনব উদ্যোগ দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের সীমান্তের স্কুলে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাটের গাছা আখারপুর আঞ্চল হাই স্কুল। সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রাম্য স্কুল একসময়ে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনায় একপ্রকার পিছিয়ে ছিল এবং পড়াশোনায় অনিহা ছিল। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের তৎপরতায় স্কুলের পরিকাঠামো নতুনভাবে সাজানোর পাশাপাশি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আগামীদিনে এলাকায় রক্তের ঘাটতি মেটাতে স্কুলের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজে নিজে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তা নিজেদের সচিত্র পরিচয় পত্র উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে প্রার্থনার সময় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রক্তের গ্রুপ অনুসারে লাইনে দাঁড়ায়।
এভাবেই নিজেদের মধ্যে কার কোন রক্তের গ্রুপ তা নিজেরাই জানতে পারবে এবং আগামীদিনে একে অপরের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে। স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী ডাটা ব্যাঙ্ক। ক্লাসে রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কুইজ, পাঠ্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর বিতর্ক সবার আয়োজনও করা হয়। এমনকি স্কুলের কবাডি খেলা একই রক্তের গ্রুপের দল তৈরি করে