নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: মঙ্গলবার ১২,ডিসেম্বর :: চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ভেঙে যায় পা,কাটা পড়ে আঙ্গুল ।নার্সিংহোমের বিল না মেটাতে পারার জন্য নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না পরিযায়ী শ্রমিক ।বকেয়া বিলের টাকা জোগাতে দুয়ারে দুয়ারে সাহায্যের আবেদন অসহায় শাশুড়ি এবং মায়ের। জামাইকে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফেরাতে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সাহায্যের আবেদন শাশুড়ি এবং মায়ের।এমনই এক করুন চিত্র ধরা পড়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামের বাসিন্দা তথা হতদরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিক গণেশ দাস(৪০)প্রায় এক মাস আগে ভিন রাজ্য দিল্লি থেকে দাদন খেটে বাড়ি ফিরছিলেন।মালদা রেলওয়ে স্টেশনে ভুল ট্রেনে উঠে পড়েন সে। বাড়ির নিকটবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনে সেই ট্রেনের স্টপেজ না থাকার কারণে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি।
গনেশ দাসের একটি পা ফ্র্যাকচার হয়ে যায় এবং দুটি আঙ্গুল কাটা পড়ে।স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় জেলার মেডিকেল কলেজে।সেখানেও সঠিক চিকিৎসা না হলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের পুর্নিয়ার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ওই পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকেরা।দীর্ঘ একমাস চিকিৎসার পর সেই শ্রমিক সুস্থ হলেও নার্সিংহোমের বিল লক্ষাধিক টাকা।বিল না মেটাতে পারার জন্য পরিযায়ী শ্রমিককে নার্সিংহোম থেকে ছুটি দিচ্ছে না নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ।
বিজেপির অভিযোগ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হল রাজ্য সরকারের ভাঁওতাবাজি।যদি রাজ্যের মানুষ কেন্দ্রের আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেত তবে এমন অবস্থা হতো না।যদিও এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা নিম্নরুচির সমান এমনটাই দাবী তৃণমূলের।তৃণমূলের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পাশে থাকার।আবার রাজ্যের কর্মসংস্থান সমস্যা নিয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস।তবে এখন প্রশ্ন গণেশ দাসের পরিবার কি বাস্তবে সাহায্য পাবে ?কবে বাড়ি ফিরবে গনেশ ? বাবার ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে রয়েছেন গনেশের দুই নাবালক সন্তান।