বীরভূমে পরিত্যক্ত পাথর ক্রাশারের অফিসে বিশাল পরিমানে বিস্ফোরক উদ্ধার । –

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বীরভুম  :: রবিবার ১৭,ডিসেম্বর ::  বীরভূমের নলহাটি থানার এলাকার চন্দননগর গ্রামে পাথর খাদানে বিস্ফোরক রাখা আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে খাদানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই খাদানের ঘর থেকে ২৪০০০ জিলেটিন স্টিক, ২১০০০ ডিটোনেটর ও ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের খোঁজ পান পুলিশ আধিকারিকরা।
শুক্রবার রাত থেকে চলা তল্লাশিতে নলহাটি থানা এলাকার চন্দননগর গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। পরিত্যক্ত পাথর খাদানের ঘরে বিস্ফোরক ও ডিটোনেটরগুলি রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য গত একবছরের বেশি আগে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবৈধ বোমা, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য। কিন্তু লাভ হয়নি।
পাথর খাদান এলাকার বিস্ফোরক বেশ কয়েক জায়গায় উদ্ধার হয়েছে যেমন রামপুরহাট থানার পুলিশ কয়েক মাস আগেই রদিপুর গ্রাম থেকে বহু পরিমাণ জিলেটিন স্টিক,ও ডিটোনেটর উদ্ধার করেন তারপরেও চলছে এলাকায় রমরমে ব্যবসা। ২০২২ সালে বীরভূমের মহম্মদবাজারে একটি ট্রাক থেকে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করেছিল এসটিএফ ।. সেই ঘটনার তদন্তে চন্দননগর গ্রাম সংলগ্ন একটি খাদানে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক। সেই ঘটনার তদন্তভার নেয়    এনআইএ ।.
বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে এনআইএর আধিকারিকরা দিল্লিতে তিহাড় জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলই পুলিশের সাহায্যে বিস্ফোরক পাচারের জন্য গ্রিন করিডর তৈরি করে দিত।স্থানীয়দের অবশ্য দাবি, এই বিস্ফোরকের সঙ্গে কোনও নাশকতার যোগ নেই। পাথর খাদানে ব্যবহার করা হয় এই বিস্ফোরক। সবই পুলিশ জানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =