সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: কাকুলিয়ার জোড়া খুনের ঘটনায় শুক্রবার সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার বুড়োবুড়ির তট থেকে দুজনকে আটক করল লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ। ধৃতদের নাম জাহির গাজী (২৭) ও বাপি মন্ডল (৩০) । ধৃত দুজনেই ডায়মন্ডহারবার থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের পরিবারের দাবি, কাজের টোপ দিয়ে মিঠু হালদার নিয়ে গিয়েছিল গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতে। তদন্তকারী অফিসারদের হাতে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে । এই জোড়া খুনের ঘটনায় মিঠু ও তার বড় ছেলে ভিকি ছিল মূলচক্রি।
জাহির ও বাপি ছাড়া এই খুনের ঘটনায় আরও একজন যুক্ত আছে বলে মনে করছে লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দারা। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি । পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত অধরা ভিকি। তিনজনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার টোপ দিয়েছিল মিঠু। কর্মসূত্রে মিঠু শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ডহারবার লোকালের নিত্যদিনের যাত্রী ছিল। ট্রেনে যাওয়া আসার পথে আলাপ হয় জাহির বাপির সাথে । বেশ কয়েকবার মিঠু বাপির বাড়িতে এসেছিল এমনটাই জানিয়েছে বাপি মন্ডলের স্ত্রী। মিঠু শেষ রবিবার তাদের বাড়িতে এসেছিল বলেও জানায় । আরো জানায় কাজের লোভ দেখিয়েই মিঠু নিয়ে যায় ।
রাতে মিঠু , বাপি ও জাহির একসাথে একই ট্রেনে বাড়ি ফেরে। বাপির মুখে-চোখে আতঙ্কের ছাপ ছিল । জিজ্ঞাসা করতে সমস্ত সত্য ঘটনা বলে দেয় তার কাছে। সেই রাতেই বাপি ও জাহির পালিয়ে যায় জাহিরের এক আত্মীয়র বাড়িতে। জোড়া খুনের ঘটনায় চার দিকে যখন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তখন আতঙ্কিত বাপি আবার ফিরে আসে নিজের বাড়িতে। এরপর মঙ্গলবার থেকে পাথরপ্রতিমায় এক আত্মীয়র বাড়িতে বাপি ও জাহির আত্মগোপন করে । সেখান থেকেই তাদের আটক করে পুলিশ ।
অন্যদিকে জাহির গাজীর পরিবারের জানায় জাহির শনিবার বাড়ি থেকে কাজে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায় । তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি । গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় স্বামীর নাম জড়ানোর কথা জানতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে জাহিরের স্ত্রী। লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য । মোট পাঁচজন মিলে এই গোটা খুনের ঘটনার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র কেনে ভিকি হালদার নিজেই।