প্রধানের জমানো লক্ষীর ভান্ডারের টাকায় গ্রামের রাস্তায় বসলো সৌরবাতি

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: শনিবার ২৩,ডিসেম্বর :: ছিলেন গৃহবধূ। এখন তিনি পঞ্চায়েত প্রধান। রাতে ঘুরতে বেরিয়ে তাঁর নজরে আসে, বেশ কিছু রাস্তায় কোনও আলো নেই। অন্ধকারে ডুবে রয়েছে সেই রাস্তাগুলি। বাসিন্দাদের দাবি মতো সেই পাড়ায় সৌরবাতি বসানোর উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল যে অর্থশূন্য! এমন অবস্থায় কি করে আলো জ্বলবে সেই অন্ধকার রাস্তায়?

নিজেই প্রশ্ন তোলেন। সমাধানের পথও বের করলেন নিজেই। ওই রাস্তায় আলো জ্বালাতে নিজের অ্যাকাউন্টে জমানো ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা দিয়ে নজির গড়লেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান আখতারি খাতুন। রাস্তায় আলো জ্বালাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর টাকা।রাজ্যে এই ধরনের নজির নেই বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

দু’বছর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা হন তিনি। ফি মাসে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকে ৫০০ টাকা করে। সেই টাকা তিনি খরচ করেননি। দুই বছর অর্থাৎ ২৪ মাসে জমে যায় ১২ হাজার টাকা। নিজের অ্যাকাউন্টেই জমিয়ে রাখেন সেই টাকা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুল প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন। তারপর দলের নির্দেশ মতো মালদহের কালিয়াচকের আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নির্বাচিত হন আখতারি।

তাঁর স্বামী ওবাইদুল্লাহ কাপড়ের ব্যবসা করেন। বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি ওবাইদুল্লাহ। স্ত্রীর জমানো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা জনগণের কাজে খরচ হবে জেনে তিনিও গর্বিত। তার সাথে সাথে এলাকাবাসী রাও প্রধানের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + fifteen =