সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: সোমবার ২৫,ডিসেম্বর :: রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রার পারদ নামছে। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। এমন মরশুমে কি কাজে মন বসে ? প্রিয়জন-পরিজন-বন্ধুদের হাত ধরে বেরিয়ে পড়েতে ইচ্ছে হয় দূরে বহুদূরে। কিন্তু ছুটি কই। তাই শীতের রোদ গায়ে মেখে চড়ুইভাতিই ভরসা। চড়ুইভাতির পরিকল্পনা করলেই প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসে সেটা হল, কোথায় যাব?
চড়ুইভাতির জন্য শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ মেলা ভার। আর সবুজ ঘেরা সেই পিকনিক স্পটের গা ঘেঁষে যদি নদী বয়ে যায়, তাহলে তো কথাই নেই। ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুটা সময় চুরি করে ঘুরে আসাই যায় কলকাতার একেবারে কাছে ডায়মন্ডহারবার। যেখানে একদিকে রয়েছে ঐতিহাসিক পুরনো কেল্লার মাঠ। আর পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে হুগলি নদী। সেখানেই ছোট্ট একটা দুপুরে চড়ুইভাতির মেজাজে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো।
পর্যটক টানতেই পুরসভার উদ্যোগে নতুন করে সেজে উঠেছে পুরনো কেল্লার পিকনিক গ্রাউন্ড। পিকনিক গ্রাউন্ডের দায়িত্বে থাকা ডায়মন্ডহারবার পুরসভার কর্মী সৌমিত্র নস্কর জানিয়েছেন, পর্যটক টানতে পিকনিক গ্রাউন্ড সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। রয়েছে বাংলো। বাংলোয় তিনটি ঘর। ভিতরে ১৫০-২০০ জনের বসে খাওয়ার জায়গা, অ্যাটাচড বাথরুম। তিনহাজার টাকা ভাড়ায় সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কাটানো যাবে বাংলোয়। রাত্রিবাসের কোনও সুযোগ নেই।
বাংলোর পিছনেই রয়েছে পাঁচিল ঘেরা হাজার বর্গফুটের দু’টি ভিআইপি তাঁবু। ভাড়া দু’হাজার টাকা। এছাড়াও সাধারণের জন্য রয়েছে মোট দশটি তাঁবু। কুড়ি ফুট বাই কুড়ি ফুটের প্রতি তাঁবুর ভাড়া একহাজার টাকা। যাঁরা কোনও তাঁবু ভাড়া নেবেন না, তাঁরা ফাঁকা মাঠে বসেই মাততে পারেন পিকনিকে। সব মিলিয়ে একসঙ্গে হাজার পাঁচেক মানুষ কেল্লার মাঠে বসে পিকনিক করতে পারবেন।